রেসের ১০ মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
Published: 17th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পিএলসির পরিচালিত ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তও হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে কমিশন। ফলে, এখন থেকে এই ফান্ডগুলোর ব্লক মার্কেট ট্রানজাকশনে আর কোনো বাধা থাকছে না।
গত সপ্তাহে বিএসইসি এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। এ আদেশের মাধ্যমে বিএসইসি পূর্বে জারি করা তদন্ত আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং রেসের পোর্টফোলিওতে থাকা অ্যাসেটের ব্লক ট্রানজাকশন নিষিদ্ধ করার আদেশও তুলে নিয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুনে বিএসইসি এক আদেশে রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের ব্লক মার্কেট ট্রানজাকশন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এই ফান্ডগুলো হলো: ইবিএল ফার্স্ট, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট, ফার্স্ট জানাতা ব্যাংক, পপুলার লাইফ ফার্স্ট, পিএইচপি ফার্স্ট, ইবিএল এনআরবি, এবি ব্যাংক ফার্স্ট, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট এবং ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আইনি দিকগুলো যাচাই করার পর এবং বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় বিএসইসি তদন্ত না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ফান্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে, তাই বিএসইসি আর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় না।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি
শেয়ার সূচকের নিয়মিত পতনের মূল কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে যেসব শেয়ারের অস্বাভাবিক বিক্রির চাপ দেখা যাচ্ছে, বাজার তদারকির মাধ্যমে সেসব শেয়ার চিহ্নিত করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক নিম্নমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে তাৎক্ষণিক কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত হয়, বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টক শো ও বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বিআইসিএম ও বিএএসএম পুঁজিবাজার-বিষয়ক শিক্ষণীয় ভিডিও তৈরি করবে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পুঁজিবাজার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা হবে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানির শেয়ার অফলোড করা, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করা এবং টেক্সটাইল ও ওষুধ খাতের দেশী লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে।
যেসব কোম্পানি এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, তাদের তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করার জন্য আকর্ষণীয় করছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ সীমিত করা এবং পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের আর্থিক খাতের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য করছাড়ের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। এর মধ্যে লভ্যাংশ আয়ের ওপর করছাড় এবং পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের ওপর বিশেষ করছাড়ের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।