পাবনার আটঘরিয়ায় দোকানে বাকির টাকা নিয়ে বিবাদে নাফিজ কামাল (২৭) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে আটঘরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাফিজ কামাল আটঘরিয়া পৌরসভার রুস্তমপুর মহল্লার নাজমুল হুদার ছেলে। রুস্তমপুর বাজারে তার ভুসি মালের দোকান রয়েছে। 

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, আটঘরিয়া পৌরসভার কুষ্টিয়াপাড়া মহল্লার আমানত আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের আটঘরিয়া বাজারে একটি মুদি দোকান রয়েছে। 

এই দোকান থেকে বাকিতে মালামাল নিতেন নাফিজ কামাল। এভাবে জাহিদুল ইসলামের দোকানে নাফিজ কামালের প্রায় ১০ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে যায় । বেশ কয়েকবার এই টাকা চেয়েও পাননি জাহিদুল। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহিদুল লোকজন নিয়ে বাকি টাকা আদায়ে রুস্তমপুর বাজারে নাফিজ কামালের দোকানে যান। কিন্তু বিফল হয়ে ফেরত আসেন। এ নিয়ে
ওইদিন রাতেই জাহিদুল এর দোকানের সামনে যান ক্ষুব্ধ নাফিজ কামাল। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহিদুল ও তার লোকজন নিয়ে নাফিজ কামালকে মারধর করে। নাফিজ এসময় ছুরিকাঘাতেরও শিকার হন। নাফিজ কামালকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাতে ওসি মো. শফিকুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।” 

ওসি জানান, কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা/শাহীন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ