সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১দফা নিয়ে কর্মশালা
Published: 18th, February 2025 GMT
সোনারগাঁওয়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার খাগুটিয়া এলাকায় উদয়ন আদর্শ বিদ্যানিকেতনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোনারগাঁও থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা আক্তারের উদ্যোগে এ কর্মশালা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় সমাজসেবক হাবিবুর রহমান।
সোনারগাঁও থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা আক্তার বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষ তার ভোটের অধিকার হারিয়েছে। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছিল।
গত ৫ ই আগস্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশকে নতুন করে গড়তে হলে আপনাদের সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। সঠিক নেতৃত্বের প্রয়োজন। রাষ্ট্র-কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কর্মশালা শেষে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫