কুষ্টিয়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় ইবি কর্মকর্তা নিহত
Published: 20th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়া শহরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এন এস রোডের মোগল কুইজিন রেস্তোরাঁর সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইশরাত জাহান লাবনী (৪০) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আমানুর আমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইশরাত জাহান কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি বাজার এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফরের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ইশরাত জাহান মেয়ের সঙ্গে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘‘রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির আধা ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়। আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় নাক ও কান দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।’’
কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এক নারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।