ভারতে জরুরি অবতরণ করেছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে বিমান।

জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেখা দেওয়ার কারণে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। এরপর ঢাকা থেকে দুবাইগামী বিমানটি বুধবার রাত ১২টা নাগাদ নাগপুরে বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

নাগপুর বিমানবন্দরের সিনিয়র এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর আবিদ রুহি বলেছেন, “ঢাকা থেকে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বুধবার রাত ১২টা নাগাদ নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণ করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

প্রথমবার এমএলএ হয়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে রেখা গুপ্তা

ভারতকে হারানোর মন্ত্রে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

বিমানটিতে ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন বলে অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যাত্রীদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরেকটি ফ্লাইটে উঠিয়ে দেওয়া হবে।

কলকাতা/সুচরিতা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী

ভারতের লখনৌতে অবতরণের সময় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ল্যান্ডিংয়ের পরই বিমানের বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, দেখা যায় স্ফুলিঙ্গও। পাইলটের তৎপরতায় নিরাপদভাবে ২৫০ জনকে নামানো হয় লখনৌয়ে।

রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩১১২ শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দা থেকে রওনা দেয়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটি লখনৌয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে। 

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, অবতরণের ঠিক পরপরই বিমানের বাঁ দিকের চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান কন্ট্রোল রুমে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনা হয় ট্যাক্সিওয়েতে।

তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ফোম ও জল ব্যবহার করে ২০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এরপর একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় সব যাত্রী ও কর্মীদের। সৌভাগ্যবশত, কারো কোনো চোট লাগেনি।

তদন্তে জানা যায়, বিমানের হুইল অ্যাসেম্বলিতে আচমকা হাইড্রলিক তরল লিক করায় অতিরিক্ত ঘর্ষণে বেশি তাপ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ধোঁয়া ও স্ফুলিঙ্গের কারণ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমস্যা যদি উড়া চলাকালীন বা টেক-অফের সময় ঘটত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।

ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও পাইলটের দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি হাজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দা থেকে এসেছিল এবং খালি অবস্থায় সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী