৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ১৮ কেজির টুনা ফিস
Published: 20th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মহিপুর ঘাটে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ১৮ কেজির টুনা ফিস। উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে এই ফয়সাল ফিস আড়ত থেকে মাছটি কিনে নিল ফিসভ্যালি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
বঙ্গোপসাগরে শিকার করে আ. সত্তার নামের একজন মাঝি মাছটিকে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। কুয়াকাটা এলাকায় এই প্রথম দেখা মিলল এত বড় টুনা ফিসের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পরে কুয়াকাটা মেয়র মার্কেট ফিশভ্যালি নামের একটি দোকানে বিক্রির জন্য উঠালে মাছটি দেখতে অনেকেই ভিড় জমান।
কুয়াকাটা এলাকায় এই প্রথম দেখা মিলল এত বড় টুনা ফিসের
ফিশভ্যালি কর্তৃপক্ষ জানায়, বড় মাছ বেশিরভাগ সময়ে তারা কিনে থাকেন। তবে এর আগে ৫-৭ কেজি ওজনের টুনা বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয় করলেও এত বড় টুনা আর কখনো তারা দেখেননি এই এলাকায়। আজকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন।
ফিশভ্যালির পরিচালক মো.
এখানের মনির ফিশফ্রাই মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন বলেন, “কুয়াকাটা ফিশ ফ্রাই মার্কেটে আমরা মাসে শতশত পিস এই টুনা ফিস বিক্রি করি, তবে এত বড় টুনা ফিস আমরা এই ১০-১৫ বছরে এলাকায় উঠতে দেখিনি। কখনো জেলেরাও পায়নি, আজকে মাছের খবর শুনে এখন দেখতে আসলাম। তবে মাছটি অনেক সুস্বাদু হবে, এর আগে মাছটি আমরা ডিসকভারি চ্যানেলে দেখতাম।”
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “এটি বিশ্ব বাজারে অনেক দামি মাছ যা অ্যালবাকোর বা লংফিন টুনা নামেও পরিচিত।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫