Samakal:
2025-06-15@20:15:26 GMT

গণঅভ্যুত্থানের ভাষা

Published: 20th, February 2025 GMT

গণঅভ্যুত্থানের ভাষা

বছরঘুরে আরও একবার মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এসে হাজির। তবে এবারের দিবসটি গত বছরগুলোর তুলনায় মৌলিকভাবে আলাদা। এবার মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশে উদযাপিত হবে এ দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাস এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে; অন্তত ৭০ বছরের মুক্তির সংগ্রামের পরিণতির অপেক্ষায় গোটা জনগোষ্ঠী। এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিকতার পাশাপাশি আন্দোলনের ভাব ও ভাষার তাৎপর্য অনুসন্ধান করার জরুরতও অস্বীকার করা যায় না। 
প্রতাপশালী ইতিহাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকেন্দ্রিক বয়ানে চাপা পড়ে এর প্রকৃত গুরুত্ব ও অঙ্গীকার। অন্তত দুটি বিষয় ভুলে গেলে চলে না– 
প্রথমত, আইন যদি ইনসাফ কায়েমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেই আইন আর আইন থাকে না, ওই আইন খোদ বে-আইনে পরিণত হয়। তখন ওই আইনের বিরোধিতা করাই ন্যায্য। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, কিন্তু ইনসাফ ও অধিকারের স্বার্থে তা ভাঙতে হয়েছিল। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশের যে আইনি কাঠামো, তা ঔপনিবেশিক ও গণবিরোধী। এই আইনি কাঠামো ন্যূনতম ইনসাফ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই আইনি কাঠামো এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে জনগণের পক্ষে আনতে হবে। এ জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং আইন-কানুনের সংস্কার অনিবার্য। সংস্কার না করলে আইনের দ্বারা সৃষ্ট জুলুমের কাঠামো বলবৎ থাকবে। এটাই একুশ ও চব্বিশের শিক্ষা।
দ্বিতীয়ত, উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে চাকরি-বাকরিতে বাঙালির
অধিকার হরণ করা হয়েছিল। এ জন্যই আন্দোলনটি ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার দাবি। চব্বিশের বাংলাদেশে অন্যায্য কোটা প্রথার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে অধিকার বন্ধ করা হয়েছিল। কাজেই একুশ ও চব্বিশ মূলত বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করার ঐতিহাসিক ডাক।
পাকিস্তান ছিল পূর্ব বাংলার জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের ফসল। অথচ যে রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হলো তা কোনোভাবেই পাঞ্জাবিদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার মাধ্যমে মূলত বাঙালি জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রাখার পাঁয়তারা করা হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই এ অঞ্চলের ছাত্রসমাজ তা মেনে নেয়নি। 
গ্রিক সমাজতাত্ত্বিক নিকোজ পুলান্তাজ মনে করেন, রাষ্ট্র হচ্ছে শ্রেণি সংগ্রামের ময়দান। রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে প্রতিযোগিতা, দ্বন্দ্ব, এমনকি সংঘাতও সৃষ্টি হতে পারে। যে সকল শ্রেণি ঐতিহাসিকভাবে দমিত ও বঞ্চিত, তারা ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেছে নিতে পারে। শ্রেণিগত উত্তরণের বন্দোবস্ত না থাকলে সামষ্টিক লড়াই প্রতিরোধই একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়ায়। 
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের বৃহত্তর ঐতিহাসিক পটভূমিতে বিচার করতে হবে। এ অভ্যুত্থানের ভাব ও ভাষার মাধ্যমে গণঅভিপ্রায়ের অভিনব প্রকাশ ঘটেছে। স্লোগান থেকে শুরু করে দেয়ালের গ্রাফিতি সর্বত্র জনগণ কী চায় আর কী চায় না, তা পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত হয়েছে। জনগণের এই ঐতিহাসিক অভিপ্রায়কে লিখিত রূপ দেওয়ার কর্তব্য অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজনৈতিক দলগুলোসহ নাগরিক সমাজের। 
ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর মতে, ক্ষমতা সর্বত্র। একইভাবে প্রতিরোধও সর্বত্র। ঢাকাসহ সারাদেশের দেয়ালগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ভাষিক প্রতিরোধের অনন্য নজির হয়ে আছে। বিপ্লবের প্রথম খুন নাকি বেরোয় ভাষা থেকে। বাংলাদেশের দেয়ালগুলোর সরবতা সেই কথার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। এমনকি আন্দোলনের অভিনব সব স্লোগান ফ্যাসিবাদের দাম্ভিকতাকে ধসিয়ে দিয়েছিল। ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মেয়েদের মুখে শোনা গেছে এমন স্লোগান– ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি।’ তোষামোদকারী মোসাহেবের দুনিয়া বেশ সরল। তোষামোদ তাদের ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী হাসিনার আস্থাভাজন করেছিল। বিরোধিতাকারী ও সমালোচনাকারী মাত্রই জঙ্গি তকমা পেতে হয়েছে। এ মারণঘাতী রাজনীতির অসারতা ফুটে ওঠে শিক্ষার্থীদের উল্লিখিত স্লোগানে। ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারও বাপের না’– এমন স্লোগান দেশের মালিকানা জনগণের বলে দাবি করে। 
দেশ গঠনের নানা উদ্দীপনামূলক বার্তা দেয়াললিখনে জায়গা করে নিয়েছে। আইনের শাসন, দুর্নীতি ও পাচারমুক্ত অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র‍্য, ধর্ম পালনের অধিকার, ব্যক্তির মর্যাদা, সামাজিক সহিষ্ণুতার বাসনা ফুটে উঠেছে গ্রাফিতিগুলোয়।  গ্রাফিতিগুলো খেয়াল করলে চব্বিশের তারুণ্যের রাষ্ট্রপ্রকল্পের হদিস পেতে একেবারেই  বেগ পেতে হয় না।
অনেকেই এই তরুণ প্রজন্মকে ভেবেছেন রাজনীতিবিমুখ। তবে তারা কেউই এই তরুণদের রাজনৈতিকতা উপলব্ধি করাবার প্রয়োজন মনে করেননি। ‘আই হেইট পলিটিকস’ বলার মধ্য দিয়ে তারা মূলত প্রচলিত হানাহানি ও লুটপাটের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এক নতুন রাজনৈতিকতা হাজির করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মতো জীবনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলন নিশ্চিত করেছে শেষতক হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতন। 
শুধু গ্রাফিতি ও স্লোগানই নয়, এমনকি কর্মসূচির নামের অভিনবত্ব এই গণঅভ্যুত্থানকে অর্ধেক সফলতা এনে দিয়েছে। বাংলা ব্লকেড ও কমপ্লিট শাটডাউনের কথাই ধরা যাক। হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ ও ধর্মঘটের মতো প্রচলিত শব্দগুলোর বাইরে এসে আন্দোলনের নেতৃত্ব ইংরেজি শব্দের কার্যকর প্রয়োগ ঘটিয়ে ‘জেন-জি’ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে এবারের আন্দোলনের এক গুরুতর তফাৎ ঘটিয়েছে আন্দোলনের ব্যানার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাম গ্রহণ করার ফলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এ আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছে। 
এমনকি এবারের অভ্যুত্থানের দফা অতীতের যে কোনো আন্দোলন-অভ্যুত্থানের তুলনায় স্বতন্ত্র ও সুদূরপ্রসারী। ফ্যাসিবাদের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত– এক দফার ভেতর তিন উপ-দফা থাকার কারণে আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজ বলতে পারছে তাদের রাজনীতি শেষ হয় নাই। ৫ আগস্ট-পরবর্তী যে কোনো ছাত্র জমায়েতের অবধারিত স্লোগান এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক: আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। অর্থাৎ যে কারণে এতগুলো জীবন দিতে হয়েছে, সেই কারণ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা, এখনও বিদ্যমান। ছাত্রদের রাজনৈতিক সক্রিয়তাও তাই চলমান। 
মূলত গণঅভ্যুত্থানের কারণ ও কর্তব্য সবই পাওয়া যাচ্ছে গ্রাফিতি, স্লোগান, কর্মসূচি ও দাবি-দাওয়ায়। এসব দিক থেকে চব্বিশের অভ্যুত্থান বেশ পরিণত। আন্দোলনের নেতৃত্ব সফলভাবে জনগণের ঐতিহাসিক বঞ্চনাকে তুলে ধরতে পেরেছেন। ‘বাংলাদেশ ২.

০’ এখন বাস্তবতা। স্বাধীনতা এসেছে, এখন সংস্কারও আসতে হবে– তরুণদের প্রত্যাশা এমন। রাজনৈতিক দলগুলোর সংকীর্ণ দলীয় চাওয়ার বাইরে জনগণের ঐতিহাসিক দাবি-দাওয়া প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের ভাষায়।
জনগণ চায় বিচার ও সংস্কার। রাজনৈতিক দলগুলো চায় নির্বাচন। সংস্কার ও নির্বাচনকে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করানো অনুচিত। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার গোড়ায় একটি শক্তিশালী ভিত তৈরি করতে হলে সংস্কার অনিবার্য। নির্বাচন সংস্কারের ফলাফল তথা সংস্কার শেষে নির্বাচনী গণতন্ত্রে আমাদের ফিরে যেতে হবেই। কিন্তু স্রেফ নির্বাচনের জন্য এত প্রাণ ঝরেনি। জনগণের অভিপ্রায় সারাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লিখিত রয়েছে। সবখানে একই সুর– দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। অবশ্যই এ সংস্কার অনন্তকাল ধরে চলবে না। কিন্তু একটা যৌক্তিক সময় এ সরকারকে দিতে হবে। নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত চাপ দিতে গিয়ে সংস্কার প্রকল্প ভেস্তে যেন না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সরকারকে মনে রাখতে হবে ব্যর্থ হওয়ার কোনো অধিকার তাদের নাই। সংস্কার শেষে একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন দিয়ে নতুন সরকারকে দায়িত্ব গ্রহণের পথ এ সরকার করে দেবে, আমরা সেই প্রত্যাশা করি। অনাগত বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তরুণরা নেতৃত্ব দেবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ করা চলে না।
গণঅভ্যুত্থানের ভাষায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকুতি উঠে এসেছে। এমন এক রাষ্ট্র যেখানে বিনা ভোটে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না, মৌলিক অধিকার হরণ করতে সক্ষম এমন কোনো আইন করা যাবে না, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হবে জনবান্ধব। 

লেখক

যুগ্ম আহ্বায়ক
জাতীয় নাগরিক কমিটি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন র গণত ন ত র ক র র জন ত জনগ ষ ঠ ব যবস থ জনগণ র ন র জন হয় ছ ল সরক র ই আইন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়

জীবন সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য। 

ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এ সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এই ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন রোগ ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত কারণে সৃষ্টি। সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ।

জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এ পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্মতন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করলে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে সম্পর্কে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে।

লেখক: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ , বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রকে থামাইতেই হইবে
  • বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন, শত্রু নয়
  • ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • একদিনে আয় ৮১ লাখ, ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের তাণ্ডব!
  • ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি