লিপিকলায় দ্রোহ ও মিছিলের ভাষা
Published: 21st, February 2025 GMT
মিছিলের স্লোগানে স্লোগানে সারা শহর উত্তপ্ত। শুধু শহর বলছি কেন, গোটা দেশ থেকেই এ যেন একই স্বরে আওয়াজ উঠছে সব দিক থেকে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তা থেকে মিছিলে মিছিলে মানুষের ঢল। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সবার এক কণ্ঠস্বর। প্রত্যেক মানুষ তাঁর অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শুরু করে রাজপথ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গগনবিদারী স্লোগানে একটাই দাবি—দফা এক, দাবি এক/ স্বৈরাচারের পদত্যাগ। চারপাশে ভয়ের আবহ, তবু সেই ভয়কে উপেক্ষা করে সবাই রাস্তায় নেমেছেন।
এমন এক উত্তাল সময়ে, একজন বাংলা অক্ষরশিল্পের কারিগর হিসেবে, স্বৈরাচারের প্রতি ক্রোধ ও আক্রোশ আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করছিল। গলি থেকে ভেসে আসা প্রতিটি স্লোগান আমাকে অস্থির করে তুলেছিল।
আমার যাবতীয় কর্মযজ্ঞের ব্যস্ততা আর জীবনযাপনের ভেতর জুলাই আন্দোলনের প্রভাবে হঠাৎ কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি অবচেতনভাবে আমার চেতনাকে গ্রাস করে ফেলে।
নানান জায়গা থেকে সতর্কতামূলক সচেতনবার্তা আবার অন্যদিকে ঘোষণা দিয়ে একপ্রকার হুমকি প্রদান; আন্দোলনের অংশগ্রহণের পরিণতিতে আমার কী ক্ষয় হতে পারে, এ রকম সচেতনতার নামে হুমকি দেখিয়ে যেন মূক, অন্ধ ও বধির করে ফেলতে চাইছিল। কিন্তু প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলের সংবাদ এই সব ভয় স্পর্শ করেনি। এসব চাপ ও অস্থিরতার ভেতর দিয়েই অন্যদিকে অনবরত বেজে চলছে—
‘আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ
আমি চিনেছি আমারে
আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ।’
জুলাইয়ের ৩০ তারিখ। সারাটি দিন এই পঙ্ক্তি জপে চলছি মনে মনে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার মুহূর্তেও এই পঙ্ক্তি আমাকে ঘুমাতে দেয় না। একদিকে একের পর এক ছাত্রদের গুলি করে যাচ্ছে খুনির দল, অন্যদিকে দ্বিগুণ হয়ে ছাত্র-জনতা আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। কারও মনে ভয় নেই, কারও পিছু হটার সুযোগ নেই। এমনকি যারা আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না, তাঁদের মনেও প্রবল উত্তেজনা। মনে হচ্ছিল, পুরো জাতি যেন ঘুমহীন হয়ে পড়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার অনুপ্রেরণায় জুলাই আন্দোলনকে উৎসর্গ করে এই ফন্টের নামকরণ করা হয় ‘দ্রোহ’।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিপক্ষ জেনে যাবে, তাই কোথায় খেলবেন বলতে চান না নাজমুল
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের বাংলাদেশ স্কোয়াডে বিশেষজ্ঞ ওপেনার মাত্র দুজন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, বিকল্প ওপেনার কে?
স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে ওপেনিংয়ের অভিজ্ঞতা নাজমুল হোসেনের। বর্তমানে টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা এই বাঁহাতি এখন ২ টেস্ট, ১ ওয়ানডে আর ৯ টি–টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে খেলেছেন। তাহলে কি আগামীকাল গলে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্টেও নাজমুলকে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে?
আরও পড়ুনটাইমড আউটের ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে এখন ক্ষোভ নেই ম্যাথুসের৫৪ মিনিট আগেউত্তর দিতে গিয়ে রহস্য রেখে দিতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজ গলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যাটিংটা আসলে কোন জায়গায় হবে, এটা কালকেই বলতে চাই। কারণ, আমি চাই না আমার যে প্রতিপক্ষ আছে, তারা আগে থেকে ওই ধারণাটা পেয়ে যাক। কাল আমরা কী কম্বিনেশনে যাব, তাঁর ওপর নির্ভর করে ১১ জনের দল সাজানো হবে।’
স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গে নাজমুল। কাল গলে