নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের চারাবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের জংলী শিবপুর গ্রামের রনি মিয়া (৩০) ও তাপস মিয়া (৩০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রনি ও তাপস দুজন মিলে মোটরসাইকেলে করে নরসিংদী শহরে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মোটরসাইকেল মরজাল ইউনিয়নের চারাবাগ এলাকা অতিক্রম করার সময় ঢাকাগামী লাবিবা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই আরোহী রনি ও তাপস মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। পরে বাসটির চাকায় মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

নূরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নিহত দুজনের লাশ হাইওয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন।

মো. নূরুল হক বলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে দ্রুতগামী বাসের চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের ‘কোনো অভিযোগ নেই’ মর্মে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার পথে মানিক মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার উত্তর বাখরনগরের জঙ্গি শিবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে রায়পুরা থানার পুলিশ আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়সংলগ্ন সড়ক থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

মানিক মিয়ার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের জঙ্গি শিবপুর গ্রামে। কে বা কারা এবং কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। গতকাল রাত দশটা থেকে দেড়টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিক মিয়া দোকান বন্ধ করে রাতে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় ধরে জঙ্গি শিবপুর এলাকায় এলে দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁকে নদের পাড়ের সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মানিক মিয়ার ভাই আরিফ মিয়া বলেন, প্রতি রাতেই ৯টার মধ্যে বাড়িতে ফিরতেন মানিক মিয়া। গতকাল রাতে বাড়িতে না ফিরলে এবং ফোন রিসিভ না করলে খোঁজ নিতে বেরিয়ে রাত দুটোর দিকে নদের পাড়ের সড়কে ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে মানিক মিয়ার বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার এবং রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মুনসুর।

সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ওই ব্যক্তির গলার পেছন দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। রাত দশটা থেকে দেড়টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মুঠোফোন, টর্চলাইট ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হলেও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়া যায়নি। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা