পূজা চেরি আছেন, আবার নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালে গেলে নিজের পোস্ট করা দারুণ দারুণ ছবি দেখা যায়। দেখা যায় বাহারি পোশাকে তৈরি করা রিলস। সে সব ছবি ও রিলসই জানিয়ে দেয় অভিনেত্রী বেশ খুশ মেজাজেই আছেন। ঘুরছেন-ফিরছেন, শুটিং করছেন বিভিন্ন পণ্যের। প্রশ্ন হলো তাহলে নেই কোথায় এই অভিনেত্রী? উত্তর হবে, সিনেমায়। পূজা চেরি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘লিপস্টিক’।

এরপর আর অভিনেত্রীকে বড়পর্দায় দেখা যায়নি। দেখা গেছে বিজ্ঞাপনে ও ওয়েব ফিল্মে। সর্বশেষ তাঁর মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্মটি হচ্ছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘ব্ল্যাকমানি’। এটি দিয়ে দীর্ঘ দিন পর রাফি-পূজা জুটির কাজ দেখেছেন দর্শক। তাতে কি অনুরাগীর মন তৃপ্ত হয়! অভিনেত্রীকে বড়পর্দায় দেখতে চান ভক্তরা। সেটি কবে? এ প্রশ্ন নিয়েই যোগাযোগ  করতেই জানা গেল পূজা আদর আজাদের সঙ্গে ফের জুটি হয়েছেন। 

মানে ‘টগর’ ছবির নায়িকা হয়েছেন পূজা চেরি।  যে ছবিটি আগামী কোরাবানীর ঈদে মুক্তি পাবে।

 এর আগে ছবিটিতে নায়িকা ছিলেন দীঘি। হুট করে দীঘিকে সরিয়ে পূজার যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং-এর কারণে আমি নিজেও কাজটিতে পরে যুক্ত হতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ হয়, আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই।’ 

 এদিকে সম্প্রতি অভিনেত্রী কার সঙ্গে প্রেম করছেন, কবে বিয়ে করবেন এ প্রশ্ন নিয়েও চর্চার শেষ নেই। বরাবরই উত্তরটি এড়িয়ে যাওয়াদের দলেই অভিনেত্রী। জানিয়ে আসছেন কেবল সিনেমার সঙ্গেই প্রেম তাঁর। ক’দিন আগে বসন্ত উৎসব উপলক্ষে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সেখানে যাওয়া নিয়েও কৌতূহলি দর্শক। কার সঙ্গে গেলেন, কেন গেলেন তা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই যেন। সেটি খোলাসা করেছেন পূজা নিজেই। একটি ইভেন্টে অংশ নিতে মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমানো তাঁর। কাজ শেষ করে দেশেও ফিরেছেন। 

পূজা মনে করেন, অভিনয় ক্যারিয়ারে এখন তিনি সুন্দর সময়ে আছেন। আপাতত অভিনয়ের প্রতি মনোযোগী থাকতে চান। কাজ করতে চান ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে। পূজা বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ থাকবে এটিই স্বাভাবিক। গণমাধ্যমের বরাতে তারা জানতে চান কবে আমি বিয়ে করছি। তাদের উদ্দেশে আমি বলব, পূজা এখনই বিয়ে করছে না। বিয়ে করলে তো জীবনের একটা পার্ট শেষ হয়ে গেল। আগে নিজের ক্যারিয়ার সেটল করি। তারপর বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে। আপাতত সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। আমার কাছে মনে হয়, আমি এখনও আনসেটলড। আরও অনেকদূর পাড়ি দিতে হবে, যেতে হবে বহুদূর। বহুদূর না গিয়ে বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম।’
 
‘ভালোবাসার রং’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র রাজ চক্রবর্তী প্রযোজিত কলকাতার সিনেমা ‘নূরজাহান’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ অভিনেত্রীকে। সর্বশেষ রায়হান রাফীর ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’তে দেখা গেছে পূজাকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা

চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।

জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”

একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”  

আরো পড়ুন:

বধূবেশে অভিষেক কন্যা

জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট

মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।” 

কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।” 

সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়। 

পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না। 

এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা