কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১
Published: 24th, February 2025 GMT
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিমান বাহিনীর সংঘর্ষে শিহাব কবির নাহিদ (৩০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি চেয়ে শিরনীর আয়োজন, সংঘর্ষে আহত ২০
নিহত শিহাব কবির নাহিদ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় একজন নিহত এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। কীভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, আজ সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমান ঘাঁটির পাশের সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ঠিক কখন এ হামলা হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিমান বাহিনী ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতি পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে এ হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।