নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আবুল হোসেন (৪৭) নামের এক বিএনপি নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আবুল হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। আজ সোমবার ভোরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার চৌকিদার বাড়ি থেকে তাঁকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। পরে তাঁকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

আবুল হোসেন বসুরহাট পৌর বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের স্ত্রী তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় মানুষজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌয়জুল আজিম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ