চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে (সিএসই) নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন জামাল ইউসুফ জুবেরী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সিএসইর পর্ষদ সভায় তিনি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন তাকে সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়।
সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা
৬ মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জামাল ইউসুফ জুবেরী একজন বিশিষ্ট পেশাজীবী। তিনি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডে (ডেলিভারি হিরো গ্রুপ ) ডিরেক্টর, ফাইন্যান্স হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন ডেলিভারি কার্যক্রমের বৃদ্ধিতে এবং একই সাথে পাণ্ডামার্ট, ইত্যাদির কৌশলগত উৎকর্ষ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন। এছাড়াও সকল সংশ্লিষ্ট অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক, আইনি এবং রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সের নিশ্চিতের কাজটিও দক্ষতার সাথে পালন করছেন।
এর আগে জামাল হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশনে (এইচএসবিসি) ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। যেখানে তিনি মূলধনের দক্ষ ব্যবহার ,তারল্য এবং সুদের হারের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যালেন্স সিটের টেকসই বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় মুদ্রা এবং বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার ক্রিয়াকলাপের ফলে উদ্ভূত এফএক্স মূল্য ঝুঁকি এবং কর্পোরেট ক্লাইন্টদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা হেজিং বিষয়ক সমাধান কাঠামো তৈরিতে কাজ করেছেন।
তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন-মেলবোর্ন বিজনেস স্কুল, আস্ট্রেলিয়া থেকে এমবিএ এবং ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। জামাল ২০০৩ থেকে একজন সার্টিফায়েড ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট (সিএফএ) এবং একই সাথে তিনি সিএফএ ইনস্টিটিউট ও সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ-এর সদস্য।
সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন পরিচালককে অভিনন্দন জানিয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, “ফাইন্যান্স, মুদ্রা, আইনি কাঠামো বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অপরিহার্য এবং জামাল ইউসুফের মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি পরিচালক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এবং সিএসই সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমুখী অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা সমন্বয়ের মাধ্যমে এই পরিচালনা পর্ষদ সবাইকে সাথে নিয়ে পুঁজিবাজার তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে।”
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ম ল ইউস ফ স এসইর র পর চ
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব