কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস উল্টে ধানখেতে পড়েছে। এতে ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া–ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে যান। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে তিনিসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা রয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জরুরিভাবে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা আছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীকে স্থানান্তর করা হয়, তবে দ্রুত তাঁকে দেশের যেকোনো জায়গায় নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বাস (নিয়মিত ভাড়া করা বাস) ক্যাম্পাসে যাচ্ছিল। বিত্তিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানখেতে উল্টে পড়ে যায়। ওই বাসে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। উল্টে যাওয়ার পর বাসে থাকা অন্তত ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বাসটি খুব দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ ডান দিকে বেঁকে গিয়ে বাসটি ধানখেতে উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা প্রায় সব শিক্ষার্থীই কমবেশি আঘাত পান। অনেকে ধানখেতে থাকা কাদায় পড়ে যান।

কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, যতটুকু জানা গেছে, বাসের চালক গত রাতে বাস নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন, এ জন্য ক্লান্ত ছিলেন। হয়তো সকালে বাস চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি সড়কের ডান দিকে চলে গিয়ে ধানখেতে পড়ে। চালক ও তাঁর সহকারীকে পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন শ ক ষ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ