মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় সড়কের পাশে থেমে ছিল একটি ট্রাক। এর নিচে ঢুকে চাকা মেরামতের কাজ করছিলেন চালক। কিছুক্ষণ পরই থেমে থাকা ট্রাকটির পেছনে ধাক্কা দেয় দ্রুতগামী আরেকটি ট্রাক। এ সময় থেমে থাকা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন চালক। আর আহত হয়েছেন তাঁর সহকারী।

আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার পদ্মা উত্তর থানাসংলগ্ন খানবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাফিজুর রহমান (৩০) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুপিডাংগা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে এ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি আবুল কালাম (৪৫) একই এলাকার বাসিন্দা।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান, আজ সকালে মালবোঝাই একটি ট্রাক রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল। ট্রাকটি খানবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে একটি চাকার হাওয়া কমে যায়। পরে সকাল ছয়টার দিকে ট্রাকটি সড়কের পাশে রেখে চাকার কাজ করছিলেন চালক হাফিজুর। ওই সময় আরেকটি ট্রাক দ্রুতগতিতে ধাক্কা দেয় থেমে থাকা ওই ট্রাকে। এ সময় থেমে থাকা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে হাফিজুর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁর সহকারীকে আহত অবস্থায় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। অন্য ট্রাকটি রেখে চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন। ট্রাক দুটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ