মূল উপকরণ: লম্বা বেগুন। বেগুনগুলো স্লাইস করে একটু লবণ ছিটিয়ে দিন। বেগুনগুলো নরম হবে, আকার দিতে সুবিধা হবে।
পুরের উপকরণ: মুরগির কিমা সিকি কাপ, পেঁয়াজপাতা মিহি কুচি সিকি কাপ, বাঁধাকপি মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, সয়া সস ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি পছন্দমতো।
মিশ্রণের উপকরণ: বেসন আধা কাপ, চালের গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, লাল মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া সামান্য, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, লবণ সামান্য, তেল।
প্রণালি: পুরের সব উপকরণ ভালো করে মেখে নিন। এবার লম্বা বেগুনের স্লাইসের ওপর পাতলা করে মাখা কিমা বিছিয়ে দিন এবং এক পাশ থেকে মুড়ে রোলের মতো করে নিন। এভাবে সব কটি তৈরি করে নিন। এরপর মিশ্রণের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। বেগুনের রোলগুলো মিশ্রণে ডুবিয়ে চুলায় ডুবো তেলে ভেজে নিন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।