ইফতারে বাড়িতেই বানাতে পারেন হায়দরাবাদী হালিম। রেসিপি দিয়েছেন সেলিনা আক্তার

হালিম মসলার উপকরণ: এলাচি ৮টি, দারুচিনি ৩ স্টিক, লবঙ্গ ৫টি, বড় এলাচি ১টি, তেজপাতা ৪টি, আস্ত জিরা ১ টেবিল চামচ, আস্ত ধনে দেড় টেবিল চামচ, কালিজিরা ১ চা-চামচ, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, আস্ত শর্ষে ১ চা-চামচ, মৌরি ১ চা-চামচ, আস্ত শুকনা মরিচ ৮–১০টি, গোলমরিচ ১ চা-চামচ, জায়ফল ১টি, জয়ত্রী দেড় চা-চামচ, কাবাব চিনি ৫টি, বিট লবণ ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: বিট লবণ ছাড়া সব একসঙ্গে তাওয়ায় হালকা টেলে গ্রাইন্ডারে গুঁড়া করে নিন। এরপর বিট লবণ মিশিয়ে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

হালিম রান্নার উপকরণ: খাসির পায়া ১২ টুকরা, লবণ স্বাদমতো, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলা সামান্য, মাষকলাই ডাল সিকি কাপ, মুগ ডাল সিকি কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, বুটের ডাল সিকি কাপ, খেসারি ডাল ২ টেবিল চামচ, পোলাওর চাল সিকি কাপ, গমের গুঁড়া আধা কাপ, তেল আধা কাপ (রান্নার জন্য), মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই সিকি কাপ, খাসির হাড় ছাড়া মাংস ৩ কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ কাপ, তৈরি করা হালিমের মসলা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪–৫টি, ঘন তেঁতুলের ক্বাথ ২ টেবিল চামচ, আদাকুচি দেড় টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি দেড় টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ (বাগারের জন্য), সাজানোর জন্য কাঁচা মরিচকুচি, ধনেপাতা, পুদিনাকুচি ও লেবুর স্লাইস।

আরও পড়ুনদেখে নিন স্বাস্থ্যকর ইফতার সয়া কিমায় চাওমিনের রেসিপি০৭ মার্চ ২০২৪

প্রণালি: প্রথমে খাসির পায়া ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সামান্য লবণ, সামান্য আদাবাটা, রসুনবাটা, সামান্য হলুদগুঁড়া, গরমমসলা অল্প আঁচে বেশি পরিমাণে পানি দিয়ে নরম করে সেদ্ধ করে নিন। স্টক তৈরি হয়ে যাবে। মাষকলাই ও মুগ ডাল হালকা ভেজে নিন। এবার সব ডাল ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।

হায়দরাবাদী হালিম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে

আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান