সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সৌদি আরবে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শনিবার থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে পবিত্র ও মহিমান্বিত এ মাস।
সৌদিতে চাঁদ দেখার জন্য কয়েকটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী রিয়াদের কাছের সুদাইর এবং তুমাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চাঁদ দেখার সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তবে তুমাইরে বিকেল থেকেই আকাশ মেঘলা হওয়া শুরু করে। এতে করে সেখান থেকে খালি চোখে চাঁদ দেখা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
কিন্তু সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কাছের আকাশ কিছুটা পরিস্কার ছিল। সেখানে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয়।
দুই পবিত্র মসজিদভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে সূর্য অস্ত গেছে, তবে ওই অঞ্চলে চাঁদ দেখা যায়নি। কিন্তু ওই সময়ও দেশের অন্য পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে অনুসন্ধান অব্যাহত থাকে। এরপর ৫টা ৫৭ মিনিটে তারা চাঁদ দেখতে পাওয়ার খবর দেয়।
এরআগে স্থানীয় সময় দুপুরে সাধারণ মানুষকে আবারও খালি চোখে অথবা দুরবীন ব্যবহার করে চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়। ওই সময় বলা হয়, কেউ যদি চাঁদ দেখে থাকেন তিনি যেন নিকটস্থ কোর্টে অবহিত করেন।
এ বছর চাঁদ দেখে বিশ্বে সবার আগে রমজান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকেও একই ঘোষণা আসে। যদিও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী ব্রুনাই ও মালয়েশিয়ায় রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে এ দুটি দেশে ২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে। এছাড়া ফিলিপাইনও পরবর্তীতে জানায়, তাদের এখানেও আজ রাতে চাঁদ দেখা যায়নি।
অপরদিকে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া, ইথিওপিয়ায় রমজানের চাঁদ দেখা যায়। এছাড়া ফ্রান্সও কাল শনিবার থেকে রমজান শুরুর ঘোষণা দেয়।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’