টেকনাফে অপহৃত যুবক উদ্ধার, ২ নারী গ্রেপ্তার
Published: 1st, March 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, টেকনাফ পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বড় হাবিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত সাব্বির আহম্মদকে উদ্ধার করা হয়।
এতে ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে একদল অপহরণকারী সাব্বির আহম্মদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর একটি দল অভিযান শুরু করে। শুক্রবার (২৮) দুপুর ৩টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় হাবিরপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত সাব্বির আহম্মদকে উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরো জানায়, নৌবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণ চক্রের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে হালিমা খাতুন ও মুন্নি আক্তারকে আটক করা হয়। উদ্ধারের সময় সাব্বির আহম্মদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, দুই নারীকে নৌবাহিনী টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ব র আহম অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের
ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ
নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।
আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।
ঢাকা/ফিরোজ