গোপালগঞ্জে ৭১৮ পরিবারে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ
Published: 2nd, March 2025 GMT
গোপালগঞ্জে পৌর এলাকার সচলকৃত ৭১৮টি পরিবারের মধ্যে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও গোপালগঞ্জ পৌরসভা এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌরসভার হল রুমে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
পৌর প্রশাসক বিশ্বজিত কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ.
পরে ৭১৮টি পরিবারের মধ্যে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
গোপালগঞ্জ পৌর প্রশাসক বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, “গোপালগঞ্জে ৪০৩৪টি পরিবারের মধ্যে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ হবে। এরমধ্যে প্রথম পয্যায়ে সচলকৃত ৭১৮টি পরিবারের মাঝে এ কার্ড বিতরণ করা হলো। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “এ কার্ড দিয়ে ৬৬০ টাকা মূল্যে প্যাকেজ কিনতে পারবে পরিবারগুলো। এর মধ্যে রয়েছে ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা, ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ২ কেজি ডাল ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল।”
ঢাকা/বাদল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র ম গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫