র‍্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য অনেক। ভারত যেখানে ১২৬তম, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫তম। র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধান ৫৯ হলেও ফুটবলের সবুজ গালিচায় দু’দলের লড়াইয়ে সব সময় উত্তাপ ছড়ায়। ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ সামনে রেখে ইতোমধ্যে দুই প্রতিবেশীর লড়াই নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। 

এরই মধ্যে সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও সহসভাপতি ফাহাদ করিম। সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ছাড়াও ফুটবলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এবং ক্রীড়ায় সহযোগিতার বিষয়টি উঠে এসেছে।

২০১৩ সাল থেকে ভারত আয়োজন করে আসছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা দেশটিতে বেশি। অনেক নামি-দামি তারকা ফুটবলারের সঙ্গে কোচকেও ডাগআউটে দাঁড়াতে দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে এমন লিগ আয়োজনের উদ্যোগ নিলেও স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটা চালু করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

সোমবার বাফুফের দুই কর্মকর্তাকে আইএসএলের জনপ্রিয়তা তুলে ধরেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ‘তিনি আমাদের সঙ্গে অনেক সময় কথা বলেছেন। তাদের দেশে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হচ্ছে, সেটা কীভাবে করছে, এই বিষয়গুলো প্রয়োজনে আমরা যেন জানতে পারি, সেই কথাও বলেছেন। একই সঙ্গে ভারতে স্পোর্টস মেডিসিন খুবই ভালো। আমরা চাইলে এই বিভাগে তারা সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি আমাদের নারী ফুটবলের প্রশংসা করেছেন তিনি। ভারতের মেয়েদের লিগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের খেলার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হয়েছে। ফুটবলের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে উন্নয়নের কথা আলোচনায় এসেছে। এর বাইরে দুই দেশের সীমান্তভিত্তিক ফুটবল খেলা আয়োজনের কথাও উঠেছে’– সমকালের কাছে এভাবেই আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম।

ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য ৫ মার্চ সৌদি আরবে যাবে জাতীয় ফুটবল দল। সেখানে অনুশীলন করে ১৮ তারিখে ঢাকায় ফেরার কথা দলটির। ২০ কিংবা ২১ মার্চ ভারতে যাবে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। সৌদি আরব যাওয়ার আগেই বাফুফে থেকে পুরো দলের জন্য ভারতের ভিসার আবেদন করা হয়। আশার কথা সব ফুটবলারের ভিসা হয়ে গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ব থ আওয় ল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার

স্বাধীনতার পর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা সবাই হিন্দুদের ব্যবহার করে শুধু নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার।

আজ শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা চত্বরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু কমিটির উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়ন ও ডুমুরিয়া-ফুলতলাসহ দেশের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে এখন প্রয়োজন ইসলামি সরকার। যাঁরা দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে ভয়-হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকিতে হিন্দুরা আর ভয় পাবে না। হিন্দুদের বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫৪ বছর যারা দেশ চালিয়েছে তারা সন্ত্রাস, দখলদারি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে হিন্দুদের শোষণ করেছে। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। লাঙলের শাসন দেখেছি, ধানের শীষের শাসন দেখেছি, নৌকার শাসনও দেখেছি। একটি দলই বাকি—জামায়াতে ইসলামী, তার প্রতীক দাঁড়িপাল্লা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়ের বিষয়টি তুলে ধরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, আগামীতেও সেই বার্তা জনগণ দেবে।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে দেড় হাজার শহীদ ও ৪০ হাজার আহতের কথা উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি দেব প্রসাদ মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল খায়ের, শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন, শরাফপুর সর্বজনীন পূজা মন্দিরের গোঁসাই সাধু প্রমথ গাইন, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহসভাপতি হরিদাস মন্ডল, কানাই লাল কর্মকার ও প্রশান্ত কুমার মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, মাগুরখালী ইউনিয়ন সহসভাপতি সুজিৎ কুমার সরকার, ধামালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুন্ডু, রুদাঘয়া ইউনিয়ন সভাপতি বিপ্লব সরকার, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, খর্ণিয়া ইউনিয়ন সভাপতি নারায়ণ রাহা, মাগুরঘোনা ইউনিয়ন সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, সাহস ইউনিয়ন সভাপতি তন্ময় মন্ডল, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি নিরঞ্জন রায়, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি তরুন কুমার মন্ডল, শোভনা ইউনিয়ন হিন্দু কমিটির মহিলা সম্পাদক প্রিয়ংকা মন্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, আটলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অনিমেষ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি স্বদেশ হালদার, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অরুন কুমার আচার্য প্রমুখ।

হিন্দু সম্মেলন ঘিরে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বর্ণিল মিছিল এসে জমায়েত হয়। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল ডুমুরিয়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

হিন্দু সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ারকে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মতুয়া সংঘের সভাপতি সুদীপ্ত কুমার সুন্দর মন্ডল বলেন, ‘আমরা আর সংখ্যালঘু বলে পরিচয় শুনতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। স্বাধীনতার পর কোনো সরকার হিন্দুদের দাবিতে কাজ করেনি। এবার প্রমাণ হবে, হিন্দু মানেই একটি নির্দিষ্ট দল নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রদলের কমিটি নেই ১৪ মাস, স্থবির কার্যক্রম
  • মামলায় ঝুলে গেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন
  • গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
  • সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি
  • হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার