Prothomalo:
2025-11-03@07:54:59 GMT

ইন্দোনেশিয়ায় রমজান

Published: 4th, March 2025 GMT

ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলমান। দেশটিতে উৎসবের মধ্য দিয়ে পবিত্র রোজাকে বরণ করা হয়। মসজিদের পাশে কোনো খোলা জায়গায় বিশাল ড্রাম বাজিয়ে পরস্পরকে অভিনন্দন জানায় সবাই।

ইন্দোনেশিয়ায় জাভার সেমারাং শহরের বাসিন্দারা দুগদেরান নামে একটি উৎসব পালন করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাস শুরুর সংকেত হিসেবে প্রতিবছর মসজিদগুলোয় ঢাক পেটানো হয়। ‘দুগ’ শব্দটি এসেছে মসজিদের ওই ঢাকের শব্দ থেকে। এ ছাড়া কামান থেকে গোলাও ছোড়া হয়। সাধারণত রোজা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকে সেমারাংয়ের বাসিন্দারা উৎসবটি পালন করে থাকেন। উৎসবে বাসিন্দারা রংবেরঙের পোশাক পরেন, শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

পশু জবাই করার মধ্য দিয়ে পালিত হয় মিউগান উৎসব। মিউগান উৎসবের আরেকটি নাম ‘মাকমিউগানা’। এ উৎসব পালন করা হয় রোজা শুরুর দিনদুয়েক আগে।

ইন্দোনেশিয়ার সুদানিসি জাতিগোষ্ঠী মুংগাহান নামে উৎসব পালন করে। মুংগাহান শব্দটির পেছনে আছে ‘উনগাহ’ শব্দটি। এর অর্থ সামনে এগিয়ে চলা। রোজাদার যেন আগেরবারের চেয়ে আরও বেশি সংযমের সঙ্গে এবারের রোজা পালন করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে মুংগাহান উৎসব পালন করা হয়। এ উৎসবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়া হয়, প্রতিবেশীর সঙ্গে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়।

আরও পড়ুনহাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল কেন পড়ব০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গোসল করে ও সাঁতার কেটে পালন করা হয় ‘পাদুসান’ উৎসব। নদী ও পুকুরে গোসল করে যেন শরীর ও মনকে পরিশুদ্ধ হয়। ইসলাম ধর্মে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। এই বিশ্বাস থেকেই ইন্দোনেশীয়রা উৎসবটি পালন করে থাকেন। মধ্য ও পূর্ব জাভার অনেক অঞ্চলেই এই উৎসবের প্রচলন রয়েছে। গোসল করে তাঁরা যোগ দেন প্রার্থনায়। প্রার্থনা শেষে নিয়ে আসা খাবার কলাপাতায় সাজানো হয়। এরপর সবাই মিলে খাবার খান।

ইন্দোনেশিয়ায় ইফতারকে বলা হয় বুকা। বুকা মানে শুরু করা। ইফতারে জনপ্রিয় খাবার আবহাম নামের পানীয় আর খেজুর। খেজুরের সঙ্গে কোলাক নামের একধরনের মিষ্টান্নও পরিবেশন করা হয়। রাতের খাবারে তারা ভাত, সবজি, মুরগি ও গরুর গোশত খেতে পছন্দ করে।

পবিত্র রমজানে তাদের প্রতিদিনকার খাবার আপেম। আপেম দেখতে চিতই পিঠার মতো। নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে আপেম তৈরি করা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় নিওরোজ নামের উৎসব পালন করা হয়। নিওরোজ শব্দের অর্থ পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করা। তাই রমজানের আগে বাবা-মা, দাদা-দাদি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ অন্য স্বজনদের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পাঠানো হয়। সাধারণত এই খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় থাকে গোশত, কফি, দুধ, চিনি, মিষ্টিসহ অন্যান্য পণ্য।

আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়২৫ মার্চ ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার মানুষেরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে রমজান মাস পালন করেন। ইন্দোনেশিয়ার বন্টেন প্রদেশে পবিত্র রমজানে কোরআন পাঠের সংস্কৃতি আরেকটি ভিন্নতর। সাহ্‌রির সময়ে সেখানে মিকরান নামে কোরআন পাঠের একধরনের আয়োজন হয়। সুন্দর কণ্ঠে তিলাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগ পান তরুণেরা। সব মসজিদে ৮ থেকে ১৬ জনকে নির্বাচন করা হয়।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিকে ইন্দোনেশীয়রা গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। রোজায় শ্রমিকদের দেওয়া হয় এক মাসের বেতনের সমান টাকা।

রমজান মাসের শেষ দিনে সন্ধ্যায় তাঁরা ঢোল বাজান, নামাজ পড়েন আর বয়ান করেন। ঈদের নামাজের পর ঘরে ফেরার পথে পড়শি বা বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যায়। আত্মীয় বা বন্ধুর কাছে ক্ষমা চায়। ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল ফিতরকে বলে লেবারান। ‘সালামাত ঈদুল ফিতর লাহির বাতিন’ বলে তারা এই সময় সবাইকে সম্ভাষণ করে। এর অর্থ, ‘শুভ ঈদুল ফিতর, আমাদের সব পাপের জন্য ক্ষমা করো।’

আরও পড়ুনতুর্কমেনরা তারাবি পড়ে ফজর পর্যন্ত২৯ মার্চ ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন দ ন শ য় র ইন দ ন শ য় য় রমজ ন ম স মসজ দ ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

ডাইনির সাজে শাবনূর!

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে নিজের খবর জানান দেন তিনি। এবার সেই পর্দার প্রিয় নায়িকা হাজির হয়েছেন এক ভিন্ন সাজে—ডাইনির রূপে!

প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। পশ্চিমা বিশ্বে এটি এক জনপ্রিয় দিন, যেখানে মানুষ নানা ভুতুড়ে সাজে নিজেদের উপস্থাপন করে। যদিও অনেকেই মনে করেন এটি কেবল ভূতের সাজের উৎসব, আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণেই হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি উদযাপিত হয়।

আরো পড়ুন:

পর্দায় ‘মহল্লা’র ভালো-মন্দ

বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক

সেই উৎসবের আমেজে এবার শামিল হয়েছেন শাবনূরও। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা গেছে, ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেজেছেন ভয়ংকর এক ডাইনির সাজে—চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসছে লাল রক্তের রেখা, সঙ্গে এক ‘ভূতুড়ে’ চেহারার চরিত্র।

ছবির ক্যাপশনে শাবনূর লিখেছেন, “আমি সাধারণ মা নই, আমি একজন দুর্দান্ত মা—যিনি একজন ডাইনিও! হ্যালোইনের শুভেচ্ছা, বাচ্চারা!”

পোস্টের শেষে তিনি যোগ করেছেন, “এটা শুধু মজা করার জন্য।”

ভক্তরা কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন শুভেচ্ছা ও প্রশংসায়। কেউ লিখেছেন, “শাবনূর মানেই চমক,’ কেউ আবার জানিয়েছেন, ‘হ্যালোইনেও আপনি আমাদের শাবনূরই—ভালোবাসা রইল।”

ঢাকা/রাহাত/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জামায়াতের
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • চীনের ‘৯৯৬’ ছড়িয়ে পড়ছে সিলিকন ভ্যালিতে, আপনি কী করবেন
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক