ময়লা আর আবর্জনার স্তূপ জমে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জ বাইপাস সড়ক। সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থানে ফেলা ময়লা এখন উপচে পড়ছে মূল সড়কে। এই সংকট উত্তরণের কোনো ইচ্ছা কর্তৃপক্ষের আছে কিনা, জনগণের এমন প্রশ্নে এখন কষ্টের চেয়ে ক্ষোভের প্রকাশই বেশি।

পৌর এলাকার ময়লা আবর্জনা স্তূপ করে রাখায় এ বাইপাস সড়কে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কের এই অংশে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বিগত সরকারের আমলে তৎকালীন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই ময়লা শহরের অদূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও সেই একই স্থানে ময়লা ফেলা শুরু হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। 

হবিগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম বাইপাস সড়কের দু’পাশে রয়েছে বৃন্দবান সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম ও আনসার একাডেমি। ওই সড়কের দু’পাশে পৌরসভা এলাকার ময়লা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন শহরের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা সেখানেই ফেলেন পৌরসভার কর্মীরা। এতে পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।

আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে আনসার একাডেমি ও হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে আসা লোকজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা সমস্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পথচারী অনিক রহমান জানান, বাইপাস সড়কটি একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। এখানে পৌরসভার ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত উদ্ভট। যানবাহনে থাকলেও নাকমুখ চেপে চলতে হচ্ছে।

কলেজছাত্র মোস্তাক আহমেদ জানান, বাইপাস সড়কের ময়লা কিছুদিন আগে অপসারণ করা হলেও বর্তমানে আবারও একই স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে কলেজে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। 

জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, বাইপাস সড়কে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা আর নোংরা পানিতে রাস্তাঘাট ভরে যায়। বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে কথা বলে আসছেন তারা। কয়েক মাস আগে সেখান থেকে ময়লা অপসারণ করা হলেও সম্প্রতি আবারও ময়লা ফেলায় আমরা বিস্মিত।

পৌরসভার প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান জানান, পৌর এলাকার জন্য এখনও নির্দিষ্টভাবে ময়লা ফেলার কোনো স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। কয়েকদিন আগে শহরের অদূরে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হলেও তা ছিল অস্থায়ী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রসভ র ম শহর র র ময়ল সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগে

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫

নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ