বাইপাস সড়কই ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ
Published: 6th, March 2025 GMT
ময়লা আর আবর্জনার স্তূপ জমে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জ বাইপাস সড়ক। সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থানে ফেলা ময়লা এখন উপচে পড়ছে মূল সড়কে। এই সংকট উত্তরণের কোনো ইচ্ছা কর্তৃপক্ষের আছে কিনা, জনগণের এমন প্রশ্নে এখন কষ্টের চেয়ে ক্ষোভের প্রকাশই বেশি।
পৌর এলাকার ময়লা আবর্জনা স্তূপ করে রাখায় এ বাইপাস সড়কে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কের এই অংশে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বিগত সরকারের আমলে তৎকালীন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই ময়লা শহরের অদূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও সেই একই স্থানে ময়লা ফেলা শুরু হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
হবিগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম বাইপাস সড়কের দু’পাশে রয়েছে বৃন্দবান সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম ও আনসার একাডেমি। ওই সড়কের দু’পাশে পৌরসভা এলাকার ময়লা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন শহরের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা সেখানেই ফেলেন পৌরসভার কর্মীরা। এতে পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।
আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে আনসার একাডেমি ও হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে আসা লোকজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা সমস্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পথচারী অনিক রহমান জানান, বাইপাস সড়কটি একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। এখানে পৌরসভার ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত উদ্ভট। যানবাহনে থাকলেও নাকমুখ চেপে চলতে হচ্ছে।
কলেজছাত্র মোস্তাক আহমেদ জানান, বাইপাস সড়কের ময়লা কিছুদিন আগে অপসারণ করা হলেও বর্তমানে আবারও একই স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে কলেজে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, বাইপাস সড়কে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা আর নোংরা পানিতে রাস্তাঘাট ভরে যায়। বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে কথা বলে আসছেন তারা। কয়েক মাস আগে সেখান থেকে ময়লা অপসারণ করা হলেও সম্প্রতি আবারও ময়লা ফেলায় আমরা বিস্মিত।
পৌরসভার প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান জানান, পৌর এলাকার জন্য এখনও নির্দিষ্টভাবে ময়লা ফেলার কোনো স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। কয়েকদিন আগে শহরের অদূরে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হলেও তা ছিল অস্থায়ী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রসভ র ম শহর র র ময়ল সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
২ উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।
শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।