কিউকমের চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 6th, March 2025 GMT
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গত বছরের ১৩ আগস্ট অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়৷ ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
পিবিআইর দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আজ আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে, তারা উপস্থিত হননি। এজন্য আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকম নামে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন। ২০২১ সালের ২৭ জুন কিউকম ডটকমের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে মেহেদী হাসান ফয়সাল আসামিদের প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বিগ বিলিয়ন রিটার্ন’ ক্যাম্পেইনে মালামাল কেনার জন্য ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬০ টাকার মধ্যে ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকা তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের (থ্রি-এস কর্পোরেশন বিডি) নামে এসআইবিএল ব্যাংকের একটি চেকের মাধ্যমে আসামিদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব বরাবর জমা দেন। অবশিষ্ট ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ টাকা আসামিদের ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় জমা দেন। পণ্য ক্রয় বাবদ ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬০ টাকাপ্রাপ্তির বিষয়টি আসামিদের প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। আসামিদের অফিস থেকেই অর্ডারের বিপরীতে অর্থ প্রাপ্তি স্বীকার করে মানি রিসিট দেওয়া হয়।
আরো অভিযোগ করা হয়, মেহেদী হাসান ফয়সালের ক্রয় করা পণ্য ২১ থেকে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে, আসামিরা যথাসময়ে তা দিতে ব্যর্থ হন। গত বছরের ২১ মার্চ মেহেদী হাসান ফয়সালকে মালামালের বিপরীতে চেক দেওয়ার কথা বলে আসামিদের অফিসে যেতে অনুরোধ করা হয়। ওই দিন তাদের অফিসে যাওয়া পর আসামি রিপন মিয়া এবং অজ্ঞাত আরো ৬-৭ জন ব্যক্তি মেহেদী হাসান ফয়সালের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং পাওনা টাকা দেবেন না বলে হুমকি দেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ১৩ আগস্ট মেহেদী হাসান ফয়সাল বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ন ফয়স ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে আবার চালু হলো নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস’
রাজশাহীভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পোর্টালটি সচল করা হয়।
গত ২১ জুলাই পোর্টালটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। তখন পদ্মাটাইমসের সম্পাদক এম বদরুল হাসান অভিযোগ করেছিলেন, জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউজ পোর্টালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আজ সকালে পোর্টালটির ফেসবুক পেজে সম্পাদক বদরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশ-বিদেশের সম্মানিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও প্রশাসনের পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাময়িক বিরতিতে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সবার ভালোবাসা কামনা করছি।’
এম বদরুল হাসান আজ সকালে বলেন, জেলা বিএনপি-সংক্রান্ত একটি সংবাদের জেরে মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এমনকি প্রকাশকের বাড়িতে গিয়ে ‘মব’ তৈরি করে হামলার চেষ্টাও করা হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়েছিল। এরপর মালিকপক্ষ পোর্টালটি বন্ধ করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমিশনার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটার আশ্বাস দেন। এতে মালিকপক্ষ আশ্বস্ত হয়ে পোর্টালটি আবার চালু করেছে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বন্ধ হলো নিউজ পোর্টাল পদ্মাটাইমস, চাপের কথা জানালেন সম্পাদক২১ জুলাই ২০২৫২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে পদ্মাটাইমস। ২০২২ সালের ২১ জুলাই এটি সরকার থেকে নিবন্ধন পায়। পোর্টালটির প্রকাশক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম (বেন্টু)। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন তাঁর ওপর হামলা হয়। এর পর থেকে তিনি পলাতক। ২০২২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আজিজুল আলম। পরে তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।