রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭০ পিস ইয়াবা ও ৪ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটার জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে ও শনিবার (৮ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার চনপাড়া ও রূপসী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো- রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মকবুলের ছেলে ইলিয়াছ (২৬), কাঞ্চন পৌরসভার তাড়ৈল এলাকার আবু সাঈদের ছেলে কাউছার মিয়া (২৭), সাজ্জাদ আলীর ছেলে কাজী ফয়সাল (৩১), মুল্লুক চান মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (৩৮)।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার রূপসী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি কাউসার মিয়া, ফয়সাল ও শরীফ এবং শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চনপাড়া বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় জব্দ করা হয় মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২১ হাজার ২০০ টাকা। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ