গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জেনিফার পিগট তার একতলা বাড়ির বাইরে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লাল-নীল রঙের প্রচারণার পতাকা ঝুলিয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। হঠাৎ করেই পিগটকে সিভিল সার্ভিসের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এটা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই। এখন তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি কত বড় ভুল করেছিলেন। খবর রয়টার্সে

পশ্চিম ভার্জিনিয়ার পার্কার্সবার্গে অবস্থিত ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ফিসকাল সার্ভিস থেকে ফেব্রুয়ারিতে বরখাস্ত হওয়া ১২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তির মধ্যে পিগটও রয়েছেন। সেখানকার বিপুল সংখ্যক মানুষ রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিগট বলেন, আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কেউই বুঝতে পারেননি যে, এই প্রশাসন ক্ষমতায় থাকলে আমাদের জীবনের ওপর কতটা বিপর্যয় নেমে আসবে। ৪৭ বছর বয়সী এই নারী বলেন, এখন তিনি যা জানতে পারছেন, তা আগে জানলে তিনি কখনই ট্রাম্পকে ভোট দিতেন না।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো দেশের জন্য বেশ কিছু বিষয়ে বেশ ভালোই কাজ করছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়টি বুঝতে পারছি না। বিএফএসে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছিলেন পিগট। সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে বরখাস্ত করতে শুরু করলে তিনিও এর মধ্যে পড়ে যান।

পিগট একজন রক্ষণশীল নারী। তিনি তিনবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপে বেশ হতবাক হয়ে গেছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, অপচয়, জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠনের জন্য একটি ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্টে পরাজিত করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন