নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে কানাডা। দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রধানই কানাডায় সরকারপ্রধান হয়ে থাকেন। সেই হিসাবে, মার্ক কার্নি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

মার্ক কার্নি অর্থনীতিবিদ, কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন।

পেশায় অর্থনীতিবিদ–ব্যাংকার কার্নি এমন এক সময় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

সামনেই কানাডার জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তাঁর আগে সর্বোচ্চ স্তরের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হলেন ক্ষমতাসীন দলের নতুন প্রধান কার্নি।

দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে হবু প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি সমালোচনা দূর করে, লিবারেল পার্টির বছরের পর বছর ধরে সমর্থন কমে আসার লাগাম টেনে ধরার চ্যালেঞ্জও তাঁর সামনে।

দলীয় ফোরামে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দলের নেতা ও হবু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমি দিন–রাত একটি লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করব, তা হলো সবার জন্য আরও শক্তিশালী কানাডা গড়ে তোলা।’

দলীয় ফোরামে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দলের নেতা ও হবু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমি দিন–রাত একটি লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করব, তা হলো সবার জন্য আরও শক্তিশালী কানাডা গড়ে তোলা।’

কানাডায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। কে এই মার্ক কার্নি? কানাডার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি কোন ধরনের নীতি অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছেন? তিনি কী আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তুলনামূলক শক্তিশালী কনজারভেটিভ পার্টির বিরুদ্ধে লিবারেলদের সৌভাগ্য ছিনিয়ে আনতে পারবেন?

অক্সফোর্ডের স্নাতক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকার

কানাডার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে মার্ক কার্নির জন্ম। বেড়ে ওঠা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের আলবার্টা প্রদেশে। তিনি নিজেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘একজন বহিরাগত’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, যিনি কানাডাকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সময়ে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন। গত ৪ মার্চ থেকে এটা কার্যকর হয়েছে। ফলে কানাডা বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছে। সামনের দিনগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা জাতীয়তাবাদের অনুভূতি এবং অটোয়াতে স্থিতিশীল নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে নিয়ে এসেছে।

৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের সময়ে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন। কানাডাকে আরও গুরুতর মন্দা থেকে রক্ষা করতে দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

মার্ক কার্নি ঐতিহ্যবাহী হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকসে এক দশকেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

অতিসম্প্রতি মার্ক কার্নি ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবতৃন মোকাবিলার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগ সম্প্রসারণ প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সংকটের সময় মার্ক কার্নি নিজের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ‘ট্রাম্প ঝড়’ সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন, এমনটাই মনে করছেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা।

৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন। ওই সময় কানাডাকে আরও গুরুতর মন্দা থেকে রক্ষা করতে দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

মার্ক কার্নি ২০১৩ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে আসেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। ওই বছর যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসে, যা ব্রেক্সিট নামে পরিচিত।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ব্রেক্সিটের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য স্বীকৃত ছিলেন মার্ক কার্নি। তবে ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে বলেও মূল্যায়ন করেছিলেন তিনি। এটা ব্রেক্সিটের পক্ষে থাকা যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীলদের ক্ষুব্ধ করেছিল।

মার্ক কার্নির বিষয়ে লেখক, কলাম লেখক ও যুক্তরাজ্যের একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট উইল হাটন বলেন, ‘তিনি (মার্ক কার্নি) একজন সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী গুণসম্পন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার ছিলেন।’

আরও পড়ুনকানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ৪ ঘণ্টা আগেরাজনীতিতে স্বল্প অভিজ্ঞতা

অর্থনৈতিক বিষয়ে মার্ক কার্নির যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে বিতর্ক খুব কমই রয়েছে। তবে নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

এক সময় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন কার্নি। আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবিলায় ট্রুডো সরকারের ব্যর্থতার জেরে ব্যাপক ক্ষোভ নিয়েই পদ ছাড়েন তিনি।

তবে মার্ক কার্নি এর আগে কখনোই এতবড় রাজনৈতিক পদের (সরকারপ্রধান) জন্য লড়াই করেননি। লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের প্রচারে বেশির ভাগ সময় তিনি কানাডার মানুষের কাছে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে ব্যয় করেছেন।

কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বেলান্ড বলেন, ‘তিনি (মার্ক কার্নি) এমন একজন মানুষ, যিনি বরাবরই পর্দার আড়ালে ছিলেন।’

প্রচার শুরুর পর বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্ক কার্নি। এর মধ্যে রয়েছে—সরকারি ব্যয়ে লাগাম টানা, আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, কানাডার ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনা, অভিবাসনে সাময়িক রাশ টানা।

জলবায়ু উদ্যোগ ও অর্থায়নবিষয়ক জাতিসংঘের সাবেক একজন বিশেষ দূত বলেন, কার্নি জলবায়ুসংকট মোকাবিলা এবং শুন্য নির্গমনে পৌঁছানোর পথে বেসরকারি খাতকে নেতৃত্বের ভূমিকায় আনাটাকে সমর্থন করেন।

গত মাসে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিতর্কের সময় মার্ক কার্নি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়, সেটা আমি জানি। আমি জানি কীভাবে শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে হয়।’

কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন র জন য প রব ন কর ছ ল র জন ত র সময় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স