সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
Published: 11th, March 2025 GMT
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ অংশে মালবাহী লরির ধাক্কায় তানভীর হাসান মজুমদার (২৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু ফয়সাল মিয়াও গুরতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষারিয়াচর ব্রীজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ। নিহত যুবক কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার জাকির হোসেনের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত এবং আহত দুই বন্ধু আমেরিকান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অনার্স'র ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। তারা মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা হতে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে আষারিয়াচর এলাকায় পৌঁছালে দ্রুত গতির মালবাহী একটি লরি পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এসময় ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন তানভীর হাসান মজুমদার এবং তার সঙ্গে থাকা বন্ধু ফয়সাল মিয়া গুরতর আহত হলে তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, তারা নিজ গ্রামে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হোন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তানভির হাসান নামে একজনের মৃত্যু হয়। দুই বন্ধু আমেরিকান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (ধরঁন) অনার্স'র ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?