হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে নতুন সুবিধা আসছে
Published: 13th, March 2025 GMT
ব্যক্তিগত বা কাজের প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও কল করেন অনেকেই। কিন্তু হঠাৎ কেউ ভিডিও কল করলে প্রস্তুতি না থাকায় চেহারা নিয়ে বেশ বিব্রত হতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে ফোনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই ভিডিও কলে কথা বলার নতুন সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ পরীক্ষামূলক সংস্করণে (বেটা ভার্সন) নতুন এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল রিসিভ করলেই ফোনের সামনের ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফলে চাইলেও ক্যামেরা বন্ধ রেখে ভিডিও কলে কথা বলা যায় না। নতুন এ সুবিধা চালু হলে সামনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই অন্যদের করা ভিডিও কলে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলা যাবে। সুবিধাটি কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে শিগগিরই সুবিধাটি উন্মুক্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে কল করার নতুন চার সুবিধা১৪ ডিসেম্বর ২০২৪অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির তথ্যমতে, সুবিধাটি চালু হলে ভিডিও কল আসার সময় হোয়াটসঅ্যাপে ‘টার্ন অফ ইয়োর ভিডিও’ নামের একটি অপশন দেখা যাবে। এরপর ‘একসেপ্ট উইথ আউট ভিডিও’ বাটনে ক্লিক করলেই ভিডিও কলের সময় ফোনের সামনের ক্যামেরা বন্ধ থাকবে এবং অডিও মোডে কথা বলা যাবে।
আরও পড়ুনআলো কম থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করবেন যেভাবে৩১ জানুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। প্রতারক চক্র অপরিচিত নম্বর থেকে ভিডিও কল করে আপত্তিকর দৃশ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি মুহূর্তের মধ্যে ভুক্তভোগীর স্ক্রিনশট নিয়ে ব্ল্যাকমেল করে থাকে। এরপর সেই স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। আর তাই নতুন এই সুবিধা ব্যবহারকারীর সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হওয়ার ৫ লক্ষণ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।