চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং মাজার গেট এলাকায় একটি জিপ খাদে পড়ে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পুলিশ সদস্য নাজমুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন।

আহত অন্যরা হলেন এসআই মো.

জিয়াউদ্দিন (৩৫), কনস্টেবল নুরুল আলম (৩৮), অলি আহমদ (৩৮) ও সাইফুল ইসলাম (২৯)। আহত ব্যক্তিদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।

মালুমঘাট হাইওয়ে থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে থানার একটি জিপ নিয়ে এসআই জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দায়িত্বপালন করছিলেন। দায়িত্বপালন শেষে রাত আড়াইটার দিকে থানায় ফেরার পথে ডুলাহাজারা রিংভং মাজার গেট এলাকায় জিপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় কনস্টেবল নাজমুল হাসান গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান বলেন, মহাসড়কে দায়িত্বপালন শেষে থানায় ফেরার পথে জিপটি খাদে পড়ে যায়। এতে এক কনস্টেবল নিহত এবং এক এসআইসহ চারজন আহত হন। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নাজমুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩