চকরিয়ায় জিপ খাদে পড়ে পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৪
Published: 14th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং মাজার গেট এলাকায় একটি জিপ খাদে পড়ে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশ সদস্য নাজমুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন।
আহত অন্যরা হলেন এসআই মো.
মালুমঘাট হাইওয়ে থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে থানার একটি জিপ নিয়ে এসআই জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দায়িত্বপালন করছিলেন। দায়িত্বপালন শেষে রাত আড়াইটার দিকে থানায় ফেরার পথে ডুলাহাজারা রিংভং মাজার গেট এলাকায় জিপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় কনস্টেবল নাজমুল হাসান গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান বলেন, মহাসড়কে দায়িত্বপালন শেষে থানায় ফেরার পথে জিপটি খাদে পড়ে যায়। এতে এক কনস্টেবল নিহত এবং এক এসআইসহ চারজন আহত হন। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নাজমুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।