লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম জাকির হোসেন (২৫)। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তাঁর বাবা। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার জাকির হোসেন রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের মনির আহাম্মদের ছেলে। মনির আহাম্মদ জানান, ৮ থেকে ১০ বছর ধরে তাঁর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় সময় ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরে ছেলের জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছ থেকে শুনেছেন। এরপর ছেলেকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে মুখে রুমাল বেঁধে রায়পুর পৌর শহরের শ্রীশ্রী মহামায়া মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেন এক যুবক। মন্দিরের বাইরের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারী জাকির হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।

জাকির হোসেনকে শনাক্ত করার পর পুলিশ তাঁর বাবা মনির আহাম্মদকে বিষয়টি জানায়। ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে বলা হয়। এরপর ছেলের খোঁজ করতে থাকেন মনির আহাম্মদ। একপর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির পাশের একটি সুপারিবাগানে অবস্থান করছেন জাকির। সেখান থেকে জাকিরকে ধরে এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তিনি।

জানতে চাইলে রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর পুলিশের কয়েকটি দল চরমোহনা গ্রামে অবস্থান করে। পরে বাবার সহযোগিতায় জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন দ র র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার

সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।

কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।

নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।

জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’

কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার