স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী গ্রেপ্তার
Published: 15th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী রমজান আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান আলী হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন রমজান আলী। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে স্ত্রীর লাশ খাটের ওপর রেখেই বান্দরবানে পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর এক আত্মীয়কে দিয়ে কৌশলে ডেকে এলাকায় এনে রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রাতে নিহত সুমাইয়া আক্তারের মা এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, তিন বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজানের বিয়ে হয়। মাস তিনেক পর থেকেই নানা অজুহাতে রমজান সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে আবারও রমজান আলী তাঁর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করেছেন।
নিহত সুমাইয়ার স্বজন মোহাম্মদ ছৈয়দ কবির বলেন, গতকাল সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খাটের ওপর লাশটি দেখতে পায়। এ সময় সুমাইয়ার দুই বছরের মেয়ে পাশে ঘুমাচ্ছিল।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী তাঁর স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে আজ শনিবার সকালে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।