Risingbd:
2025-05-01@09:55:06 GMT

কনুই দেখিয়ে ট্রাম্পকে হুমকি

Published: 15th, March 2025 GMT

কনুই দেখিয়ে ট্রাম্পকে হুমকি

প্রথমে ছিল হুমকি, পরে করা হলো শুল্ক আরোপ। এখন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার জোরপূর্বক সংযুক্তিকরণের কথাকে রসিকতা হিসেবে উপহাস করা হচ্ছে না। তার এই হুমকি গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন কানাডার বাসিন্দারা।

সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, কানাডা-মার্কিন সম্পর্ক বাসিন্দাদের উদ্বেগের বিষয়গুলির তালিকার শীর্ষে থাকায় কানাডিয়ানরা তাদের দেশের জন্য সমাবেশ করছে এবং জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছে।

‘এলবোস আপ’ অর্থাৎ কনুই উঁচু করা হকি খেলায় ব্যবহৃত একটি শব্দ ও চিহ্ন, যা যুদ্ধের প্রস্তুতি বোঝায়। কানাডা এখন এই চিহ্ন ও শব্দ সমাবেশে ব্যবহৃত হচ্ছে, পোশাকে খোদাই করা হচ্ছে এবং একটি নতুন পডকাস্টের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের শুল্ক কতদিন বহাল থাকবে বা কানাডাকে ৫১তম মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার তার আকাঙ্ক্ষার পিছনে কী রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু রয়টার্সের সাথে কথা বলা ১১ জন ক্ষুব্ধ কানাডিয়ান জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কানাডিয়ানরা মার্কিন পণ্য বর্জন করছে এবং মার্কিন ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করছে। প্রদেশগুরো দোকান থেকে আমেরিকান অ্যালকোহল সরিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি বাসিন্দাদের মনে গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

এলবোস আপ র‍্যালির আয়োজক পিটার ওয়াল বলেন, “এটি উদ্বেগ, হতাশা, ক্রোধের মিশ্রণ। আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মিত্র আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে এবং আমরা আসলে কী করব তা জানি না।”

সাংবাদিক জর্ডান হিথ-রালিংস, যিনি এলবোস আপ নামে একটি নতুন পডকাস্টে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার সম্পর্কের অবস্থাকে বিবাহবিচ্ছেদের ধাক্কার সাথে তুলনা করেছেন।

জর্ডান বলেন, “আপনার জীবনের যেসব জিনিসকে আপনি হালকাভাবে নিয়েছিলেন, সেগুলো হঠাৎ করেই চলে গেছে। আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং আমি মনে করি দেশ হিসেবে আমরা সেখানেই আছি। আমার মনে হয় অনেক কানাডিয়ান সত্যিই কষ্ট পেয়েছেন। আমার মনে হয় অনেক কানাডিয়ান সত্যিই রাগান্বিত। আমি নিজেও নিশ্চিতভাবেই এমনটাই অনুভব করছি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ