স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। গতকাল রোববার একই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ- এই তিন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.

ওমর ফারুক ইউসুফ, বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রে-এন্ট্রোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেন, ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন সোসাইটির ইসি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজসহ চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম একই ক্যাম্পাসের ভেতরে তিনটি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন ও রোগীদের বিভিন্ন বিষয় খোজ-খবর নেন। ডেন্টাল হাসপাতালের স্পেশালাইজড বিভিন্ন বিভাগগুলো পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সুপরিসর ও সমৃদ্ধ সেন্ট্রাল লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সিআইএমসি কনফারেন্স কক্ষে বিশেষ সভায় তিনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে যাবতীয় সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসা সেবায় তিন প্রতিষ্ঠানের অনন্য ভ‚মিকায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদও জানান। 

পরে কলেজের কনফারেন্স হলে তিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এবারই প্রথম এই প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেন তিনি। এসময় ইসি কমিটির সদস্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, ফয়সাল মোহাম্মদ ইউনুছ, ট্রেজারার জালাল উদ্দিন আকবর, অধ্যাপক মো. নুরুন্নবী, ডা. মো. রেজাউল করিম, ডা. মো. ইফসুফ, জিয়াউর রহমান, ইঞ্জি. মোমিনুল হক খোকন, সিআইএমসি অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতান, সিআইডিসি অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকরাম পারভেজ চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আবু নাসের, নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মিসেস রুবি দত্তসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ য উপদ ষ ট উপদ ষ ট ন কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ