পঞ্চাশোর্ধ্ব নাফি আল-ফারতুসি স্বদেশে রমজান কাটান মায়ের আদেশ পালনের জন্য। তিনি বলেন, ‘মা মনে করেন, রমজানে পরিবারের সবাই একত্র হওয়া জরুরি, তাতে যদি আমি আমেরিকাতেও থাকি। পশ্চিমাদের থ্যাঙ্কসগিভিং দিবসের মতোই আমাদের কাছে রমজান। তাই আমি ও আমার রোমানিয়ায় অধ্যয়নরত বোন রমজানে ইরাকে ফিরে আসি।’

 বাড়ি ফিরে নাফি পুরনো বাড়িতে ভাই-বোন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন। একসঙ্গে ইফতার আয়োজন করেন। দেখেন যে, তার মা গ্রীষ্ম থেকে বামিয়া (ঢেঁড়স ) সংরক্ষণ করে রেখেছেন, যাতে রোজায় খেতে পারেন। নাফি মাছ পছন্দ করেন বলে তার মা বন্দর শহর ফাও থেকে জুবাইদি (এক ধরনের জনপ্রিয় মাছ) নিয়ে এসেছেন।

 রমজান ইরাকে পুনর্মিলনের মাস। বাড়ির সবাই মিলে গল্প করেন, পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করেন এবং প্রবাস জীবনের কষ্ট শেয়ার করেন। দ্রুতই রমজানের ত্রিশ দিন শেষ হয়ে যায়, প্রবাসীরা যার যার কাজে জীবনের স্বাভাবিক রুটিনে ফিরে যান, এই প্রত্যাশা নিয়ে যে, আবার আগামী বছর প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসবেন, মাতৃভূমির বুকে সুন্দর রাতগুলো একসঙ্গে কাটাবেন।

আরও পড়ুনরমজানে সোমালিয়ার সংস্কৃতি ও সংহতি০৩ মার্চ ২০২৫ঐতিহ্যবাহী ইরাকি পোশাক এবং রমজানের লণ্ঠন (আল জাজিরা).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল