জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বহির্ভূতভাবে নজরুল ইন্সটিটিউটের গবেষণা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে। এমনকি ওই গবেষণাকর্মের তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন তারই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। 

ওই বহিস্কৃত শিক্ষার্থী হলেন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের গালিব ফয়সাল।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজে চূড়ান্তভাবে মনোনীত গবেষণা প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করলে এ তথ্য পাওয়া যায়। 

তালিকার ১৪ নম্বরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিস্কৃত ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী গালিব ফয়সালের নাম। তার গবেষণা কর্মের তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন তারই বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় ২ বছরের জন্য বহিষ্কার হন গালিব। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তারের বিশেষ আনুকুল্যে ইতোমধ্যে তার শাস্তি কমানোর জন্য সিন্ডিকেটে আবেদনও করেছেন তিনি।

তার জন্য ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর (তার ব্যাচের) সেমিস্টার পরিক্ষা পিছিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। 

আইন অনুযায়ী, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অ্যাকাডেমিক, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তি কিংবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। 

এ বিষয়ে ইংরেজি কথা বলতে ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ওই শিক্ষার্থীর গবেষণাকর্মের তত্ত্বাবধায়ক রায়হানা আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালকের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাশেদুল আনাম। 

এ বিষয়ে রাশেদুল আনাম তিনি বলেন, “বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের আগেই আমাদের এ তালিকাটি রিভিউ হয়েছিল, যার কারণেই তার নামটি এই তালিকায় এসেছে। তবে যারা শাস্তিপ্রাপ্ত তারা কোনোভাবেই গবেষণার জন্য অনুমোদন পাবে না। কালকের মধ্যেই আমরা এই তালিকাটি সংশোধন করে প্রকাশ করব।”

একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালক  এবং  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

জাহাঙ্গীর আলম।

ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগে

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫

নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ