ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় নাইজেরিয়ার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সীমান্তের পরশুরাম পৌরসভার বাউরপাথর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নাইজেরিয়ানের নাম নওসু ইজুচুকু ক্যালিস্টাস (২৭)।

বিজিবি জানায়, পরশুরাম পৌরসভার বাউরপাথর এলাকায় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় এক নাইজেরিয়ানকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাঁর কাছে পাসপোর্ট, ভিসা বা ভ্রমণের বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি।

বিজিবির জিঙ্গাসাবাদে আটক নাইজেরিয়ান তরুণ জানান, তিনি কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সহায়তায় বাউরপাথর এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।

বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করায় ফরেনার অ্যাক্টে নাইজেরিয়ার ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে বিজিবি মামলা করেছে। এরপর তাঁকে পরশুরাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির হাতে আটক নাইজেরিয়ানকে ফরেনার অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ইজ র য় ন পরশ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ