পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
Published: 21st, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরও এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম সাফাই মুনশি (১৯)। ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এর আগে গ্রেপ্তার সাকিব মুনশিকে (১৯) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
আরও পড়ুনপটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১১৯ মার্চ ২০২৫পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এক শহীদের মেয়ে। কলেজছাত্রী বাদী হয়ে দুমকী থানায় মামলা করেছেন। এজাহারে সাকিব মুনশি (১৯) ও তাঁর চাচাতো ভাই সাফাই মুনশিকে (১৯) আসামি করা হয়েছে। মামলা করার পর আটক সাকিব মুনশিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সাফাই মুনশির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাজেদুল ইসলাম আরও জানান, ‘ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ভুক্তভোগী তরুণী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর পরিবার বলছে, গত মঙ্গলবার কলেজছাত্রী বাবার কবর জিয়ারত করে কাছেই নানাবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সন্ধ্যায় তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুনপটুয়াখালীতে ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রীর খোঁজখবর নিলেন নাহিদ ইসলাম২০ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।
মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।
উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি