বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মার্জিয়া ইসলাম মৌ (১৪) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। 

নিহত শিক্ষার্থী ওই ভবনের ৫ম তলার নূরে জান্নাত নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। 

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মার্জিয়া ইসলাম মৌ উজিরপুর পৌর শহরের মো. শাহিনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত মৌ ওই ভবনের ছাদ থেকে প্রথমে একতলা টিনের চালা ঘরের ওপর ও সেখান থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মেহেদী হাসান সুমন খান জানান, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মার্জিয়া ইসলাম মৌ বিকেল ৪টার দিকে মারা যান। পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য রাতে উজিরপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মোস্তফা বলেন, ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছি। তবে কেউ এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভবন র ছ দ থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ