ঈদের আগে নিজের যত্ন নিশ্চিত করা দরকার। শরীরের যত্ন নিশ্চিত করতে পারলে মন যেমন ভালো থাকে আবার আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। ঈদের আগে ফেসিয়ালটা গুরুত্ব দিয়ে করলেই হবে না, পায়েরও চাই সঠিক যত্ন। পা পরিষ্কার রাখা এবং পায়ের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য ভালো উপায় হলো ‘পেডিকিউর’। পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করাতে না চাইলে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো কিনে ঘরেই করে ফেলতে পারেন। চার ধাপে পেডিকিউর শেষ করার উপায় জানিয়ে দিচ্ছি।
প্রথম ধাপ: প্রথমে নখ ভালো করে কেটে ফেলুন। নেলকাটার ছাড়া অন্য কিছু কিন্তু ব্যবহার না করাই ভালো। নখে যদি পুরনো নেলপলিশ থাকে তুলে ফেলুন। এবার নখের কোণা ঠিক করে কেটে পরিষ্কার করে নিন। নইলে পরে সমস্যা হতে পারে। নখের কোণা বের হয়ে থাকলে জীবাণু জমতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপ: বড় গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে বাথ সল্ট বা পেডিকিওরের সল্ট দিন। সল্ট মেশানো পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও দিতে পারেন। এবার পায়ে মাইল্ড লিক্যুইড সোপ লাগিয়ে নিয়ে গরম জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
আরো পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘সাময়িক অবসর’
মহাকাশ থেকে ফেরার পর যেসব কারণে হাঁটতে পারেননি সুনিতা ও বুচ
তৃতীয় ধাপ: পা পরিষ্কার করার ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। তারপর পিউবিক স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালির অংশ ঘষুন। আবার কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন।
চতুর্থ ধাপ: এবার পায়ের উপরের পাতায় স্ক্রাব লাগিয়ে নিতে হবে। রেডিমেড বা বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। বাড়িতে বানালে বেসন, চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস, মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে একসঙ্গে স্ক্রাব তৈরি করে লাগিয়ে নিন। কিংবা চিনি, টমেটো, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে লাগান, এতে পা ময়েশ্চারাইজার পাবে। এবার ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে দিন। এরপর পা ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে লোশন, অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে পা নরম থাকবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল