রাউজান উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে বিপ্লব ঘটতে চলেছে। কৃষকের আগ্রহ আর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বছর বছর বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। এবার বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। উপজেলার অনেক মাঠ যেন হলুদগালিচা, সেখানে মৌমাছির গুঞ্জরণে মোহিত মানুষ। সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন, তারা ছবি তুলে ফেসবুকে দেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাউজানে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ৩০ টন তেল উৎপাদন হবে এবার। বাজারে প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। সে হিসাবে এবার উপজেলায় এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার তেল উৎপাদিত হবে। এতে কয়েক হাজার পরিবারে সচ্ছলতার সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে।
‘সূর্যমুখী গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত পৌরসভার কাঁশখালী কূলে কথা হয় কৃষক মো.
চিকদাইর ইউনিয়নের দুই কিষানি ‘পার্টনার প্রকল্পের’ আওতায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কিষানি মরিয়ম বেগম ও রশেদা বেগম বলেন, ‘৫০০ কেজি তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যৌথভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছি। সূর্যমুখী ক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থী। তারা ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। দর্শনার্থীদের ফসল নষ্ট না করার অনুরোধ জানাতে মাঠে থাকতে হয় আমাদের।’ হলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক আলী মজুমদার বলেন, ‘দিনদিন বাজারে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বাড়ছে। এই চাষাবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। কৃষি অফিস সহযোগিতা ও প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করছে।’
উপজেলার চিকদাইর, ডাবুয়া, সদর, বাগোয়ান ইউনিয়নের সূর্যমুখী ক্ষেতে কৃষকরা এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত। ভালো ফলন ঘরে তোলার আশায় ক্ষেতের সর্বোচ্চ পরিচর্যা করছেন তারা। হলুদ রঙের ফুলের ঘ্রাণে ম-ম করছে সূর্যমুখী ক্ষেত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘উপজেলায় এবার প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। প্রায় ৩০ টন তেল পাওয়া আশা করছি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৬৪০ জন কৃষকের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ, সার ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কমবেশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। বাজারে সূর্যমুখী তেলের দামও ভালো। প্রতি লিটার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। তেল উৎপাদনের পাশাপাশি খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়, যা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হয় কৃষকের।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ল উৎপ দ করছ ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ
নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ