পৌর প্রশাসকের কাছে ক্ষমা চাইলেন ৭২ কর্মকর্তা-কর্মচারী
Published: 25th, March 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভায় আন্দোলনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌরসভা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি গুরুদাসপুর পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২৮ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই সময় নিয়ম ভেঙে টায়ার জ্বালিয়ে পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। এর পর সাত মাসের বেতন পেলেও আন্দোলনের ধরন ও আচরণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় পৌর প্রশাসন।
পৌর কর্মচারীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজের কাছে ক্ষমা চান। পৌর পরিষদের পক্ষে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দেন মো.
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, পৌরসভার কিছু কর্মচারী ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা সত্যিই অনুতপ্ত হয়ে থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।