ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের
Published: 27th, March 2025 GMT
নাটোরে লালপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে প্রাইভেট কারের ধাক্কা লেগে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নাটোর-পাবনা সড়কে গোধড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ওসি মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত শাহরিয়ার সাকিল যশোরের কর্মস্থল থেকে পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিহতরা হলেন- বগুড়া সদরের কইতলা এলাকার বাসিন্দা শাহরিয়ার সাকিল ও তার ২ বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। আহতরা হলেন- সাকিলের স্ত্রী আয়শা আক্তার রুমী ও প্রাইভেট কারের চালক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, সকালে প্রাইভেট কারটি যশোর থেকে বগুড়া যাওয়ার পথে নাটোর-পাবনা সড়কে গোধড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাইভেট কারের যাত্রী বাবা-মেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ওসি আরও জানান, নিহত বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারটিও থানায় আনা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫