পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুই আসামি তিন দিনের রিমান্ডে
Published: 27th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকীতে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার দুই আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শীরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে ২২ মার্চ গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুমকী থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মো.
শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. রুহুল আমিন সিকদার রিমান্ডের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁকে দুমকী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তাঁর কলেজশিক্ষার্থী মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তাঁর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী তাঁর মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ দুপুরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।
মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের ১৭ ও ১৯ বছর বয়সী দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। যদিও পুলিশ বলছে, দুজনই কিশোর। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লাল চাঁদ হত্যাকাণ্ড: তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠন চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠন ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ১৩ জুলাই রিটটি করেন। পরদিন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন (১৪ জুলাই) শুনানি নিয়ে ওই দ্বৈত বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বিষয়টি ডিলিট (বাদ দেন) করে দেন। এরপর বিচারপতি হাবিবুল গনির নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দাখিল করেন রিট আবেদনকারী। আজ রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ৮৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজে শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন ও তদন্ত চলছে উল্লেখ করে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের অপর কোনো বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হবে।’
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে ৯ জুলাই লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল লোক। পিটিয়ে, ইট-পাথরের খণ্ড দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনমিটফোর্ডের সামনে লাল চাঁদকে হত্যায় আরও তিন আসামির স্বীকারোক্তি, দুজন রিমান্ডে২৩ জুলাই ২০২৫লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। নিহত ব্যক্তির বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।