রাজধানীর পল্লবী এলাকার একটি বাসা থেকে চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। আজ রোববার পল্লবী থানার কালসী এলাকার একটি বাসায় এ অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল (২৪) ও তোফায়েল আহম্মেদ (২৬)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৬১টি চোরাই ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকার মো.

সাকিব ও তার সহপাঠী মিলে একটি বাসায় থাকেন। তাদের বাসাটি সাবলেট নেওয়ার জন্য গত ২১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে সাকিবের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তা দেখতে যান মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল। এরপর তিনি বাসা ভাড়া (সাবলেট) নেন। সাকিবের কাছ থেকে বাসার চাবি নিয়ে তিনি চলে যান এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরদিন দেবেন বলে জানান। রাত সোয়া ৮টার দিকে সাকিব তারাবির নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হলে সুযোগ বুঝে মাহথির চাবি দিয়ে তালা খুলে পড়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি ল্যাপটপ, একটি হেডফোন ও দুটি বাটন মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় সাকিবের অভিযোগের ভিত্তিতে বাড্ডা থানায় একটি মামলা হয়।

পুলিশ জানায়, তদন্তকালে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত মাহথিরকে শনাক্ত করা হয়। এরপর আজ সকালে তাকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে বিপুল চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ য ন চ র ই ল য পটপ ল য পটপ ও

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার

সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।

কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।

নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।

জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’

কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার