নারী সংবাদকর্মীকে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন কারাগারে
Published: 4th, April 2025 GMT
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে গ্রেপ্তার সোয়েব রহমান ওরফে জিশান (২৫), মো. রাইসুল ইসলাম (২১) ও মো. কাউসার হোসেনকে (২১) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই কারণে তাঁদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়নি। প্রয়োজনে পরে তাঁদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হবে।
গত বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে একটি ইংরেজি দৈনিকের নারী সংবাদকর্মী তাঁর ছোট ভাইকে নিয়ে বনশ্রী ই-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের মুখে একটি জুসের দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তরুণ তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। তাঁর ভাই প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন। এ সময় ওই নারী সংবাদকর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁরা তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী নারী সংবাদকর্মী সোয়েব রহমান ওরফে জিসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজনকে আসামি করে গত বুধবার রাতে রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ওই ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সোয়েব বাসায় তালা দিয়ে সপরিবার পালিয়ে যান।
ওই দিন দিবাগত রাতে গোয়েন্দা সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই মামলার প্রধান আসামি সোয়েব রহমানকে রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বনশ্রী সি ব্লকে থাকেন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতায়।
পরে সোয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব রাজধানীর বেইলি রোড থেকে রাইসুল ইসলাম (২১) ও গেন্ডারিয়া থেকে কাউসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। রাইসুলের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চহটা এবং কাউসার হোসেনের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার রাজ্জাকপুরে। গতকাল সকালে র্যাব তিনজনকে রামপুরা থানায় সোপর্দ করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।