‘প্রিয় পৌরবাসী, আমি যেহেতু পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, সেহেতু পৌরসভার সমস্যা সমাধানের দায়িত্বও আমার। কমেন্টসে পৌর এলাকার সমস্যাগুলো লিখতে থাকুন। সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

গত ১৫ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে এমন পোস্ট করেছেন ঘাটাইল উপজেলার ইউএনও এবং পৌরসভার প্রশাসক আবু সাইদ। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৯৯ জনের মন্তব্যে উঠে এসেছে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ৯ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এত সমস্যা এবং অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না হলেও সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ স্থাপনা ভেদে ২০ থেকে ৩০ গুণ বাড়িয়েছে পৌর কর, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পৌরসভার বাসিন্দারা। 

মন্তব্যকারীরা যেসব ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন, তা হলো– ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা, যানজট, সড়কবাতি নষ্ট, মাদক, ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা, ভাঙা রাস্তা, মেইন রোডের অসমতল ঢালাই রাস্তা, ভাঙা রাস্তা মেরামতের অভাব ইত্যাদি। 

এদিকে নানা সমস্যায় বছরের পর বছর পৌরবাসী ভোগান্তি পোহালেও চলতি মাসেই বাড়ানো হয়েছে ২০ থেকে ৩০ গুণ পর্যন্ত পৌর কর। পৌরসভার অ্যাসেসর আব্দুল কদ্দুস স্বাক্ষরিত নোটিশ এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে ঘাটাইলের ইউএনও এবং পৌরসভার প্রশাসক আবু সাইদ সমকালকে বলেন, যে বাড়তি কর টানা হয়েছে, তা বিধি অনুযায়ী করা হয়েছে। একবারে যেন জনগণের ওপর করের বোঝা না পড়ে, এ জন্য দাবি পুনর্নির্ধারণের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রসভ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী

অভিনেতা সমু চৌধুরী পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাজারের গাছতলায় গামছাপরিহিত সমু চৌধুরীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা জল্পনা শুরু হয়।

গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, অভিনেতা সমু চৌধুরীকে রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে খালাতো ভাই অপু চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের লোকজনও ছিলেন। তিনি বলেন, সমু চৌধুরী এর আগে মাজারটিতে কয়েকবার এলেও কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এবারও মাজারে একাকী সময় কাটাতে এসেছিলেন তিনি।

এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন গতকাল দুপুরে মাজারের গাবগাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাজারের পাশের বাসিন্দা আল মামুন হৃদয় ফেসবুকে তাঁর গাছতলায় শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা সমু চৌধুরীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন। সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। সন্ধ্যার পর লোকজন আরও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এ সময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি সুস্থ আছেন। সারা রাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন।

আরও পড়ুনঅভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর২১ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাত ৯টার দিকে সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সমু চৌধুরী সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন।

ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টার বেশি সময় অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং তাঁকে সুস্থ পাওয়া যায়। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়, পুরো ঘটনা তাঁর জবানিতে শোনা হয়। অভিনেতা মাজারভক্ত মানুষ। এ মাজারে আগেও এসেছিলেন। তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও গতকাল তাঁর ভাষায় গুরুবার ও গুরুত্বপূর্ণ রাত হওয়ায় তিনি মাজারেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।’

সমু চৌধুরীর বয়স ৬২ বছর। তিনি ১৯৯০ সালে একটি নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া উদীচীর সঙ্গে ছিলেন ১২ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত। তাঁর বাড়ি যশোর। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু মা জীবিত আছেন। সমু চৌধুরী যশোরে থাকেন বলেও জানান ইউএনও।

আরও পড়ুনমাজার থেকে সরতে চাইছেন না সমু চৌধুরী১৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৬ মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে ৩১টি পরিবার
  • পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী