ঈদের ছুটিতে ৭ দিনে ঢাকা ছাড়েন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী
Published: 5th, April 2025 GMT
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ৭ দিনে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন। সরকারি হিসাব বলছে, ঈদ উদযাপনে গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল (৭ দিনে) ১ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ১৫৫ সিমধারী ঢাকার বাইরে গেছেন। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকায় প্রবেশ করেছেন প্রায় ৪৪ লাখ সিমধারী।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব লিখেছেন, ‘ঈদের ছুটির ৭ দিনে ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিপরীতে ৪৪ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।’
আরো পড়ুন:
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঈদ উৎসবে মাতলো গ্রামবাসী
কুষ্টিয়ায় বিনোদন কেন্দ্রে আনন্দে মেতেছে শিশুরা
ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব ৪ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের সিমধারীরদের ৭ দিনে ঢাকা ছাড়ার একটি বিস্তারিত হিসাব দিয়েছেন। তাতে দেখা যায়, ২৮ মার্চ থেকে ঈদের দিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৫ সিমধারী ঢাকা ছাড়েন। এরপর ১ থেকে ৩ এপ্রিল ছাড়েন ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ সিমধারী। সবচেয়ে বেশি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ সিমধারী ঢাকা ছাড়েন ৩০ মার্চ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়বের ফেসবুক পোস্ট
এই ৭ দিনে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ সিমধারী। এদিকে ঈদের ছুটি শেষে মানুষ ঢাকায় ফিরছেন।
সিমধারী বলতে একক মানুষকে বোঝানো হয়েছে (ইউনিক ইউজার)।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব