রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
Published: 5th, April 2025 GMT
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লাভলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষের বিএনপি নেতা লাভলু মিয়া বদরগঞ্জের রাজরামপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটা ব্যবসায়ী ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সর্দার রুমের ইনচার্জ সেলিম মিয়া।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি দোকানঘর নিয়ে ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইশতিয়াক বাবু দোকানঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নেয় যখন জাহিদুল হক আশ্রয় নেন কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের কাছে এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবু আশ্রয় নেন সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে।
শনিবার দুপুরে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের নেতৃত্বে জাহিদুল হকের অনুসারীরা। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা তা পণ্ড করে দেন। যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় দুই পক্ষেরই নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় পৌরশহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। একপর্যায়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দু’জন পথচারীসহ অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়া (৫০), মোক্তারুল ইসলাম (৪৫), মুন্নাফ আলী (৫০), শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও ময়নাল হোসেনকে (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলু মিয়া মারা যান। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের কর্মী-সমর্থক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর দুইটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহরে টহল শুরু করে।
বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, লাভলু মিয়ার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এখনও কাগজ হাতে পাইনি। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ন হত ব এনপ বদরগঞ জ হ দ ল হক সরক র র ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের তথ্য সামনে আসছে। অবশ্য এই অবস্থায় ইরানে ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ওয়ালিদ ইসলাম।
শনিবার (১৪ জুন) তিনি ফেসবুকে এই তথ্য জানান।
কনসুলার ওয়ালিদ ইসলাম লিখেছেন, “বিভিন্ন গ্রুপে যারা ইরানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তাদের জন্য বলছি যে, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা তেহরানে পাঁচজন, কারাজে একজন, গোরগানে আটজন, কোমে ৫০ জন (কিছু কমেছে বর্তমানে), একজন ইসফহানে এবং একজন মাত্র মাসাদে লেখাপড়া করছেন। তাদের সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হচ্ছে। তারা সবাই ভালো আছেন।”
আরো পড়ুন:
আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫
কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, সেখানে কোন বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছেন তিনি।
শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ছয় বিজ্ঞানীসহ ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এসব হামলায় অন্তত ৩২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় তিনজন ইসরায়েলি মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি।
শনিবার রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় দেশে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল