শেখ হাসিনার ফাাঁসির দাবি জানিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সেইসঙ্গে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় শহীদ মিনারের সামনে ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে ‘ওয়ারিয়রস অব জুলাই’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা ইউনিটি’ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ সব দাবি করেন তারা। ঘণ্টাব্যাপি এই অবস্থান কর্মসূচিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, ঢাকার শাপলা চত্বরে এবং পিলখানায় হত্যার বিচারের দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শহীদ সাজু ইসলামের স্ত্রী শারমিন আক্তার, শহীদ সাগরের মা ছখিনা বেগম, শহীদ সুমন ইসলামের বাবা হামিদ ইসলাম, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মাহমুদ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি শাহ পরান, জেলা ওয়ারিয়ার্স অব জুলাই এর সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান, সংগঠক আতিকুর রহমান, রাব্বু প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়ারিয়ার্স অব জুলাই-এর আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: অ্যাটর্নি জেনারেল

গণহত্যা মামলা: হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের খসড়া রিপোর্ট প্রসিকিউশনে

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘‘তপ্ত রৌদ্রে দাঁড়িয়ে জুলাই গণহত্যার খুনি শেখ হাসিনার এখনো বিচার চাইতে হচ্ছে। আর তিনি ভারতে আরাম আয়েসে আছেন। এটা হতে পারে না। অনেকে খুনিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। এটা মেনে নেয়া হবে না।’’

তারা বলেন, ‘‘শাপলা চত্বরে হাজার হাজার আলেমকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। পিলখানায় সেনা সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যার বিচার চাই। আওয়ামী লীগ একটা ভোট চোরের দল, ছাত্র হত্যাকারীর দল। এই দলকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’’

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে

সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।

শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।

পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।

শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখ খান: গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল