শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার
Published: 6th, April 2025 GMT
শেখ হাসিনার ফাাঁসির দাবি জানিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সেইসঙ্গে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় শহীদ মিনারের সামনে ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে ‘ওয়ারিয়রস অব জুলাই’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা ইউনিটি’ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ সব দাবি করেন তারা। ঘণ্টাব্যাপি এই অবস্থান কর্মসূচিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, ঢাকার শাপলা চত্বরে এবং পিলখানায় হত্যার বিচারের দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শহীদ সাজু ইসলামের স্ত্রী শারমিন আক্তার, শহীদ সাগরের মা ছখিনা বেগম, শহীদ সুমন ইসলামের বাবা হামিদ ইসলাম, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মাহমুদ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি শাহ পরান, জেলা ওয়ারিয়ার্স অব জুলাই এর সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান, সংগঠক আতিকুর রহমান, রাব্বু প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়ারিয়ার্স অব জুলাই-এর আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: অ্যাটর্নি জেনারেল
গণহত্যা মামলা: হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের খসড়া রিপোর্ট প্রসিকিউশনে
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘‘তপ্ত রৌদ্রে দাঁড়িয়ে জুলাই গণহত্যার খুনি শেখ হাসিনার এখনো বিচার চাইতে হচ্ছে। আর তিনি ভারতে আরাম আয়েসে আছেন। এটা হতে পারে না। অনেকে খুনিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। এটা মেনে নেয়া হবে না।’’
তারা বলেন, ‘‘শাপলা চত্বরে হাজার হাজার আলেমকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। পিলখানায় সেনা সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যার বিচার চাই। আওয়ামী লীগ একটা ভোট চোরের দল, ছাত্র হত্যাকারীর দল। এই দলকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।